প্রতিভাস: জুলাই ২০২৫

ধারাবাহিক উপন্যাস

যেভাবে বেঁচে থাকি

তাপস সরকার 

ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম আমার বাড়ির সামনে। অলস পায়ে। বিশেষ কোন কাজকর্ম ছিল না। ঢোলগোবিন্দ উড়ে এসে সামনে দাঁড়ানোতে হাঁটা বন্ধ হয়ে গেল। বেশ উৎসুক হয়ে পড়লাম। এমনিতে তার সঙ্গে হাটে-বাজারে, রাস্তায়-ঘাটে দেখা হয়। তার কারখানাতেও গেছি কয়েকবার। স্বাভাবিক ছিল চলাফেরা। ওড়াউড়ি করতে দেখিনি কোনদিন। হঠাৎ সে কী মতলবে হাঁটাচলা বাদ দিয়ে উড়ে বেড়াতে শুরু করল জানার বেশ আগ্রহ হল…..

 

.

আমি-ই জেমস লঙ

শরদিন্দু সাহা

ঘরের চালটা যদি উড়ে যায় ঝড়ের দাপটে, থরে থরে সাজানো বইগুলো তো বাঁচবে না। বইখাতাগুলো ঘিরেই তো আমার যাবতীয় স্বপ্ন, এই দেশের জনগণকে দেবার মতো আমার তো এছাড়া আর কিছু নেই। বিষাক্ত সাপটাও ফাঁকতালে ঢুকে পড়েছে এক কোণে। ও বোধ হয় নিজেও কোনো আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছে। ফণা দেখে আমাদের দুজনেরই চক্ষু ছানাবড়া। তবে এই বিশ্বাসে জড় হয়ে রইলাম ওর বোধ হয় এক সময় নিজের সঠিক ঠিকানা খুঁজে নেবে….


.

ধারাবাহিক রচনা

উনিশ শতকের বাঙালী মনীষার ভারতবিদ্যাচর্চা

তুষার বরণ হালদার

  সংস্কৃত ও দর্শন অধ্যয়নের মধ্যে দিয়ে তিনি ভারততত্বের সাধনা করলেও বিজ্ঞানের নানা শাখায় তাঁর যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। ১৯৩৬ সালে রোমে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়ে প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞান চর্চার উপর এক অসাধারণ বক্তৃতা করেছিলেন। ১৯৩৯ সালে রোম বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করে….


.

.

আশিস ভৌমিক

সুমেরীয় পুরাণে এনকি এবং নিনহুরসাগ দিলমুন নামে পরিচিত। আসলে দিলমুনের (বাহরাইন) দেবী হিসেবে পূজিত। স্বর্গের বাগানে পৃথিবীর সূচনার গল্প তাই বলে। নিনহুরসাগ, একজন তরুণী এবং প্রাণবন্ত দেবী। সৃষ্টিতে সারাবছর তার ভূমিকার পর শীতকালে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য অবসর নেন। জ্ঞান, জাদু এবং মিষ্টি জলের দেবতা এনকি তাকে সেখানে খুঁজে পান এবং তার প্রেমে পড়েন….

.

অমিতাভ সরকার

.

 অরিত্রী দে

.

.

.

.

দীপান্বিতা

উমবার্তো একো একজন সাহিত্যিক, এটুকু বললে তাঁর সম্পর্কে কিছুই বলা হয় না। তাঁর একটা বড় পরিচয় হল, তিনি উত্তর-আধুনিক যুগের এক সেরা দার্শনিক। এটুকু বলাও যথেষ্ট নয়। তাঁর নামের পাশে পরিচিতি হিসেবে লেখা যায় মিডিয়াভ্যালিস্ট, সেমি ওটিশিয়ান, সাহিত্য সমালোচক...

.

প্রীতন্বিতা

মঙ্গল গ্রহের জলসম্পৃক্ত মৃত্তিকায় জীবনের আদি কোষগুলি যখন ডালপালা মেলছিল হঠাৎই একদিন কোন বিশাল উল্কাপিন্ডের সঙ্গে তার সংঘর্ষ ঘটল। বহু মাঙ্গলিক শিলা তাতে মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল, কিছু এসে নামল পৃথিবীতে…..

.

তপোপ্রিয়

মনে হয় যদি ওই ঘড়িটাকে আবার ঘরের দেয়ালে ফেরত পেতাম আর পেন্ডুলামটা দুলত নিয়মিত ছন্দে এদিক ওদিক তো হয়তো হারিয়ে যাওয়া দিনগুলিও ফিরে আসত। ঘড়িটা আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে তার সমকালীন সময়কে অঙ্গীভূত করে…..

.

পথে পথে মোহর ছড়ানো

.

সুদীপ ঘোষাল

ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় সাহিত্যিক হিসাবেই বিখ্যাত। তিনি বাংলা সাহিত্যে এক নতুন রকমের উদ্ভট হাস্যরসের প্রবর্তক ছিলেন। বঙ্গবাসী অফিস থেকে প্রকাশিত জন্মভূমি মাসিক পত্রিকায় তিনি অনেক ভালো ভালো প্রবন্ধ লিখেছিলেন তাঁর রচিত ডমরু চরিত এবং কঙ্কাবতী খুবই বিখ্যাত….

.

.

.

নীলাদ্রি পাল

ইংরেজ আমলে সুন্দরবনে কিছু নতুন বন্দর নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়, যার মধ্যে ডায়মন্ড হারবার ছিল অন্যতম। ডায়মন্ড হারবারের পিকনিক স্পটের সামনে রয়েছে একটি ভাঙা দূর্গ। দূর্গটির কয়েকটা ভাঙা দেয়াল বর্তমানে অবশিষ্ট রয়েছে। বাকি সব অংশ নদীর ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন। দূর্গটির বিশাল আয়তনের প্রমাণ পাওয়া যায় নদীর তীরে বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা ভাঙা কেল্লার ইঁটের ছোট ছোট টুকরোর বিস্তার দেখলে….

.

শিশির আজম

হ্যা, সেনা আছে, অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প আছে, নির্যাতন শিবির আছে, নির্জন রাস্তায় টহল জিপ আছে, বাড়ি বাড়ি ঢুকে সন্দেহভাজন লোকজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া বা ফাঁকা রাস্তায় ঠান্ডা মাথায় গুলি করে মারা, সবই আছে। কিন্তু এই ফিল্মকে হলিউডের মারমার কাটকাট সিনেমার সঙ্গে একদমই মেলানো যাবে না। এখানে প্রযুক্তি আর অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই। ল্যাতিন আমেরিকা বা বলিউডের সিনেমার সঙ্গেও মিল নেই…..

.

.

সারাহান থেকে প্রায় ৮৫ কিমি দূরে কিন্নরের পুরনো এই জনপদ… সাংলা ভ্যালি অথবা যাকে বাসপা ভ্যালিও বলা হয়। বাসপা নদীর সৌন্দর্য এবং কৈলাস পর্বতের উল্টোদিকের বরফাবৃত শোভা এই ভ্যালিকে আরও মনোরম করে তুলেছে। সারাহান থেকে সাংলা যাওয়ার পথে পাহাড়ের নানা রকম ভঙ্গিমা নজর কেড়েছে। সাংলা ভ্যালি ঢোকার মুখেই বিখ্যাত কামরু ফোর্ট যাওয়ার রাস্তা….

..

.

নিজের লোকরা সব শত্রু হয়ে যায় বা হয়ে আছে এই ভয়ে সে জন্মে বিয়ে করবে না ঠিক করেছে, পাছে না বউ হিসেবে একটা বাড়তি শত্রু উড়ে এসে জুড়ে বসে, একদঙ্গল ছেলেমেয়ের জন্ম দিয়ে ঘরে শত্রুর শ্রীবৃদ্ধি ঘটায়। এই নিয়ে তার মা নাচিয়া ঝালের সঙ্গে তার খটাখটি লেগেই আছে, যেহেতু মা তাকে দেখা হলেই বিয়ে করতে বলে। মা হয়ে ছেলেকে যে এমন কু-পরামর্শ দেয় তাকে শত্রু না ভাবার কোন কারণ আছে কি…..

.

.

বই আলোচনা

.

মদনমোহন তর্কালঙ্কার, দাদাঠাকুর, বিদ্যাসাগর, ফজলুল হক

সম্পাদক দীপান্বিতা 

কবিতা বিভাগ : রুদ্রশংকর 

সম্পাদনায় সঙ্গে আছেন :

প্রীতন্বিতা, গণেশ পান্ডে, তুষার বরণ হালদার, আশিস ভৌমিক, পাঠক মিত্র, নীলাদ্রি পাল, সৌমিতা রায় চৌধুরী

Visitors

008899
Views Last 30 days : 1229
Total views : 21685