প্রকাশ চন্দ্র রায়
গহীন গহ্বরে রেখেছি গোপন
আপন আকাঙ্খার অনুষঙ্গ,
প্রসঙ্গান্তরে ধীরে ধীরে মধ্যাহ্ন হলো গত।
.
অপরাহ্নের অনুজ্জ্বল আলোয় অপসৃয়মান
ফাগুন দেহের ছায়া-তোমার মোহে মুহ্যমান;
ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে ক্রমশঃ
একদিন সম্পৃক্ত হবে মৃত্তিকার সাথে।
.
এ যাবত কতদুর গড়ালো চৈতালী তোমার বাড়ন্ত বেলা?
ফাগুনের খেলা তো কবেই করেছো সাঙ্গ!
.
বড়ই মর্মাহত ছিলে বসন্ত উৎসবে,
অনিচ্ছার ডালে ফুটেছে অবাঞ্ছিত ফুল,
লক্ষ্মণরেখায় আবদ্ধ আছো এ যাবত;
খরতাপের মধ্যস্থলে কাটাচ্ছো কাল।
.
কতকাল হয়নি দেখা পরস্পরের মুখ!
মনে জাগে ক্রন্দসী মুখচ্ছবি প্রতি পলে পলে,
কানে বাজে দীর্ঘশ্বাসের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি।
.
আমারও নিঃশ্বাস হ্রস্ব হচ্ছে ক্রমশঃ
হয়তোবা আর হবে না দেখা সূর্যাস্তের আগে; চৈত্যলিপিতেও র’বে না তোমার স্মৃতিস্বাক্ষর!
.
সম্ভব হলে এসো একদিন সমাধি চত্বরে
ঢেলে দিতে বক্ষস্থিত ব্যথার বকুল,
অতুল উল্লাসে ঘুমাবো শান্তির ঘুম;
কতকাল নির্ঘুম কাটাচ্ছি তুমি তো জানোই।
.
অমর স্মৃতি সম্বল করে
তুমিও স্বস্তিতে রবে প্রণয় গৌরবে।