আসরাফ আলী সেখ মেঘেদের ব্যবসায়িরা এখন নোঙর করছে আমাদের চাঁদে ওদের ওপনিবেশ এখন রোবর্ট ভিশন ওদের কিনে বারুদের ধোঁয়ায় পাথরের রঙ করে ফিরিয়ে দেয় আমাদের […]
Category: কবিতা
রিহার্সেল
অর্পিতা ঘোষ পালিত লঞ্চে পারাপারের সময় যাত্রাপথে ছিলাম সহযাত্রী ঢেউয়ের তালে বইতো ভাটিয়ালী সুর ইচ্ছে ছিলো ছায়া হয়ে থাকবো . সময় চলে গেলে বদলে যায় […]
সমন্বয়
লোকনাথ ভান্ডারী আজ নিজেকে খুঁজে পেয়েছি – কোথায় দাঁড়িয়ে তখনও স্পষ্ট নয় | পায়ের নিচে আগুন জ্বেলে বুঝলাম সাজানো চিতার উপরে নয় | গোলাবারুদ মেখে […]
একটি নদী
শরীফ সাথী একটি নদী পার হয়েছি বাবার সাথে ছোট্ট বেলায় অনায়াসে, নৌকা বেয়ে নদীর তীরে পৌঁছে দেখি ঘাসে শিশির কণা হাসে। মাঝি জেলে রাখাল বালক […]
ভাবি না
আসরফী খাতুন এখন আর ভাবি না ভাবতে বড় ভয় লাগে এতদিন যত কিছু ভেবেছি সব হয়েছে উল্টো, তাই ভাবনাকে করেছি বিদায় মন থেকে জোর করে […]
শব্দের প্রজাপতি
উদয়ন চক্রবর্তী দূর শূন্যতা থেকে শব্দের নক্ষত্ররাপ্রজাপতি হয়ে কখনওউড়ে এসে বসে গাড়ি বারান্দার কার্নিসেআমি পোষ মানাতে ফুল ছড়িয়ে রাখি ও যাতে আগুনে ঝাপ না দেয়ও […]
গোপন সংসার
কৌশিক চক্রবর্ত্তী মাঝেমাঝে আমি নৌকা হয়ে যাই মাঝগঙ্গায় একাকিত্বের সময় গুছোতে শিখি অগোছালো পাটাতন পরিবর্তে 3BHK ফ্ল্যাটের কথা ভাবতে বসলে খেলে যায় অনাড়ম্বর হাওয়া। . […]
মৃত্যুর সৌন্দর্য
রুদ্রশংকর অনেকদিন পর মানুষের মতো সহজ অথবা জটিল হয়েছি, আমাকে ঘিরে এক জনবিরল সাম্রাজ্য, এক বুনো ইতিহাস ছিল সেদিন। চারদিকে অজস্র খসখসে বালি, আর প্রতিটি […]
খয়েরী রঙের টিপপরা মেয়েটি
স্বপ্ননীল তার কপালের টিপটি যেন ভালোবাসার আকাশ নিয়ে বসে আছে। জানতে চাইলাম কী রঙ টিপটির? সে বললো খয়েরী। খয়েরীতে তোমায় বেশ লাগছে কিন্তু।তবে কি জানো আমাদের পাড়ায় খয়েরী রঙের টিপ পরা একটি মেয়ে ছিল।ঠিক তোমার মতই।খুব সুন্দর।বিয়ের প্রথম প্রথমও সে খয়েরী পরতো।দেখলে মনে হয়না ভেতরে একটা চাপা কান্না আছে তার।সবাই জানত তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ির নাড়ী নক্ষত্র ঠিকুজী।তাই মাড়ায়না ওপথে কেউ।তবে বরটি ভালো।কিন্তু একবছর হঠাৎ অ্যাক্সিডেন্টে বরটা মারা গেল,আর কপাল খসল মেয়েটার।ধীরে ধীরে তার কপাল থেকে খয়েরী টিপটা চলে গেল।শুধু কপালটাই খয়েরী লাগে এখন। তাই বলছিলাম লাল হয় না?লাল রঙে কপালটা খুব চকচক করে।যেন ভরা ভরা আকাশ। শুনে মেয়েটি বলল,আমাদের পাশের গ্রামের একটি মেয়ে ছিল। সে যখন লাল টিপ পরে আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যেত আমাদের বারান্দাটা পুরো আলো হয়ে উঠতো।যেন চৈত্রের শেষ বিকেল। মো মো হয়ে উঠতো পলাশ। চোখের কোনা দুটো যেন গভীর হয়ে উঠতো ডোবা সূর্যে। ভরা ভরা বসন্ত। কিন্তু একদিন মোড়ের চারটি ছেলে মিলে ছিঁড়ে তছনছ করে দিল ওর ভেতরের পলাশটা। সূর্যটা সেই থেকে আর লাল হয়ে ফোটেনি! শুনে মন খারাপ হল লোকটির। বলল- যদি বেগুনি হয়?মেয়েটি বলল, বেগুনি রঙের শাড়িটি সেই মেয়েটিরও খুব প্রিয় ছিল। বিয়ের পর অষ্টমঙ্গলায় যেদিন সে ফিরে আসবে ওবাড়ি,বেগুনি শাড়িতে সেজেছিল মেয়েটা। গলায় চকচকে সোনার হার। কানে দুল। হাতে গাছা চুড়ি। […]
ফাঁকি
পুলক রায় জলশরীর নিয়ে শুয়ে আছে যে প্রগলভ নদী তার নাভিকুণ্ডলের অন্ধকারে কলম ডুবিয়ে দু- ধারের মানুষের হাসি- কান্নার ছবি কেন আঁকলে না কবি ? […]