প্রেম ও বৈরাগ্য
আশিস ভৌমিক
লেখক পরিচিতি
(জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন । প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।
– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)
২৯
কবীর কথা :-
কৌন কহনকো কৌন সুননকো
থুজা কৌন জনারে।
দর্পনমে প্রতিবিম্ব জ্বৌ ভাসৈ
আপ চহুঁ দিস সোঈ।
দুবিধা মিটৈ এক জব হোরৈ
তৌ লা পারৈকোঈ।
জৈসে জ্বলতে হেম বনতু হৈ
হেম ধূম জল হোঈ।
তৈসে যা তত বাহু তত সো
ফিরে য়হ অরু বহর সোঈ।
জো সমুঝৈ তো খরি কহন হৈ
না সমুঝৈ তো খোটি।
কহৈ কবীর কোচ পথ ত্যাগৈ
তাকী মতি হে মোটী।।
অনুবাদ:-
কথা বলিতেই বা কে, শুনিতেই বা কে?
দ্বিতীয় সত্ত্বা আর কে আছে?
দর্পণে যেমন প্রতিবিম্ব ভাসে
আপনিই তিনি প্রতিভাত চারিদিকে
দ্বৈত মিটিয়া এক হলে পরে
তখনই তিনি ধরা পড়েন জালে।
জল থেকে তুষার ঘনায়
বাষ্প তেমনি জলে।
ইহাও যেই তত্ত্ব উহাও সেই তত্ত্ব
ইহা উহা আসলে একই
বুঝিলে যে তত্ত্ব সত্য
না বুঝিলে সেটাই মন্দ।
.
কবীর বলেন, কোনো একটি পক্ষ যে ত্যাগ করে
তার মতি আসলেই স্থুল।।
৩০
কবীর কথা :-
ইয়ার মিলে জব ইয়ার কহায়া
জাতি বরণ কূল করম নসায়া
পারস পরশে কাংচন হোঈ
লোহা বাহি কহৈ ন কোঈ
পারসকৌ গুনো দেখৌ আয়
লোহা মহংগে মোল বিকার
কহৈ কবীর ওহ্ সাচো খেল
ফুল তেল মিল ভয়ো ফুলেল।।
অনুবাদ :-
সেই প্রেমিকের সঙ্গ পেলে সবাই প্রেমিক হয়
জাতি ধর্ম কূল কর্ম সবই দুরে রয়
পরশপাথরের স্পর্শ পেলে লোহা, সোনা হয়ে যায়
আর কি তাকে লোহা বলে? সোনার টুকরো টায়!
দেখ দেখ সবে পরশ মণির গুণ
লোহাও দুর্মূল্য হয় সবই সঙ্গ-গুণ।
.
কবীর বলেন, দেখ দেখ সত্য আজব খেল
ফুল আর তেল মিলে হইল ফুলেল!
দোহা:-
তুম তো সমর্থ সাইয়াঁ দৃঢ় কর পাকড়ো বাঁহি
ধুরাহি লে পহুঁচাইয়ো মার্গ মে ছোড়ো নাহি
অনুবাদ:-
ওগো সাঁই!
তুমি তো সব পারো, শক্ত করে ধরো আমার হাত
নিয়ে যাও পরমধামে, ছেড়ো না আমার হাথ।।
সমাপ্ত