প্রীতন্বিতা

সূর্যের আত্মকথা 

আমি সূর্য, নৈশ আকাশের সুবিশাল প্রেক্ষাপটে বুটিদার কৃষ্ণবর্ণ যে আচ্ছাদন আমিও তার একটি বিন্দু ,আকাশগঙ্গা গ্যালাক্সির একধারে স্বপরিবারে আমার অবস্থান। পরিবারের সদস্যবৃন্দকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিগত কোটি কোটি বছর ধরে প্রভূত শক্তি উৎপাদন করে চলেছি .এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, আমার ভান্ডারে রয়েছে অফুরন্ত শক্তি উৎপাদনের রসদ। অফুরন্ত কথাটা বলার জন্য বলা, আমি অমর নই, একদিন না একদিন আমারও মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।

লক্ষ-কোটি তারকার মেলায় আমার মর্যাদা কিন্তু সত্যি কথা বলতে গেলে, তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। আকারে বা তুলনামূলক বিচারে আমি বেশ সাধারণ একটি তারা। এমন তারাও রয়েছে আকাশে যাদের সামনে দাঁড়ালে আমাকে খুব নগণ্য মনে হবে।

আমার মৃত্যুর কথা প্রথমেই উল্লেখ করে ফেললাম। সে তো অনেক পরের ব্যাপার। শুরুতে বলা উচিত ছিল কিভাবে আমার জন্ম হয়েছে। যে কোন তারকারই জন্মকাহিনী প্রায় একই রকম, সে আমার মত কেউ হোক বা আরও বড় কেউ। মহাশূন্যে স্থানে স্থানে সুবিশাল গ্যাস আর ধূলিকণার মেঘ ঘুরে বেড়ায় নীহারিকা নামে। এমনই অঞ্চল তারকাদের সূতিকাগার। এই মেঘের কোন স্থানে হয়তো গ্যাস আর ধুলো বিশেষ কোনো কারণে বা অকারণে চারপাশের তুলনায় ঘন হতে লাগলো। এটাই তারকার জন্ম লগ্নের সূচনা। ওই ঘনবস্তুপুঞ্জকে ভ্রূণ তারা বা প্রাক-তারকা বলা যেতে পারে। ঘনত্ব যদি যথেষ্ট বেড়ে যায় তো গ্যাস আর ধুলো মাধ্যাকর্ষণের টানে সংকুচিত হতে থাকে। এই সংকোচন শক্তি নির্গত করে যাতে গ্যাস আর ধুলো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আর তখন প্রাক-তারকা লক্ষণীয়ভাবে বিকিরণ ছড়ায়। প্রাক-তারকায় সংকোচন এভাবে চলতেই থাকে আর তার কেন্দ্রমন্ডল বা কোর অঞ্চল উত্তপ্ত থেকে উত্তপ্ততর হয়ে ওঠে। একসময় তাপমাত্রা এমন স্তরে পৌঁছে যায় যা পারমাণবিক সংযোজন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পক্ষে অনুকূল। এই আদর্শ তাপমাত্রার মান এক কোটি কেলভিন। পারমাণবিক সংযোজন প্রক্রিয়া আরম্ভ হওয়া মানেই প্রাক-তারকাটির হৃৎপিণ্ড চালু হল। কী ঘটে এই প্রক্রিয়াতে ? চারটি হাইড্রোজেন পরমাণুর নিউক্লিয়াস ওই অকল্পনীয় উষ্ণতায় একসঙ্গে মিশে গিয়ে জন্ম দেয় একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াসের। এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা ভর হারিয়ে যায় কারণ, চারটি হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াসের মিলিত ভরের তুলনায় একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াসের ভর কিছুটা কম। এই হারানো ভর বা মাস কতটা ? চারটি হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াসের মিলিত ভরের মাত্র হাজার ভাগের সাত অংশ। এই অতি তুচ্ছ পরিমাণ ভর হারিয়ে যাওয়া কি কোন ঘটনা নাকি ? অবশ্যই ঘটনা, কারণ এখানেই লুকিয়ে আছে অমিত শক্তির আশ্চর্য ভান্ডার যা সীমাহীন মহাবিশ্বকে সচল রাখে। আমার সংসারের প্রাণময় গ্রহ পৃথিবীতে এক জীবকণিকার মেধা এই রহস্য উদঘাটন করেছে মাত্র মুহূর্তের খণ্ডাংশ সময় আগে। নামটি মনে আছে আমার, আইনস্টাইন। রহস্যের মূলকথা হল, একবিন্দু ভর হারিয়ে গেলে জন্ম দেয় প্রবল শক্তির। কতটা শক্তি ? আইনস্টাইনের দেখানো সূত্র বলে, এই হারানো শক্তি পাওয়া যাবে ভরের পরিমাণকে আলোর গতিবেগের দ্বিগুণ সংখ্যা দিয়ে গুণ করে। আলোর গতিবেগ সেকেন্ডে প্রায় তিন লক্ষ কিলোমিটার। যদি মনে করি, মাত্র ১ একক ভর হারিয়ে গেল তো তার জন্য কতটা শক্তি জন্ম নেবে ? উত্তর হল, ১০ সংখ্যাটিকে ১৬ বার গুণ করে যা পাওয়া যাবে সেই সংখ্যা অর্থাৎ ১০০ কোটি কোটি বা দশ-এর পর ১৬টা শূন্য বসিয়ে যে সংখ্যা পাওয়া যাবে তা। কল্পনা করলে নিশ্চয়ই থৈ পাওয়া যাচ্ছে না সংযোজন প্রক্রিয়া কী অকল্পনীয় শক্তি উৎপাদন করে ?

সংযোজনের এই শক্তি বিকিরণ চাপের সৃষ্টি করে যা অভিকর্ষজনিত কেন্দ্রাভিমুখী টানের বিপরীত। ভ্রূণ বা প্রাক-তারকা তারপরও সংকুচিত হতে থাকে যতক্ষণ না বিকিরণ আর মাধ্যাকর্ষণ চাপ দুটি পরস্পর সমান হয়ে যায়। এই দুটো চাপ সমান হয়ে গেলেই ভ্রূণটি তারায় পরিণত হয়। তারার মধ্যে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন বেড়ে গেলে অতিরিক্ত চাপের উদ্ভব ঘটে। তারাটি তখন বৃহত্তর আকৃতি পায়। অভ্যন্তরস্থ গ্যাস তাতে শীতল হয় আর শক্তি উৎপাদন কমে আসে। এটি তারাটির অবস্থান স্থিতিশীল থাকার একটি উপায়। এভাবেই তারকার অভ্যন্তরীণ সংযোজন প্রক্রিয়া একটি স্বয়ং-নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া যার কারণে তারা আলো দেয় আর নিজস্ব গঠন অক্ষুন্ন রাখে। তারকা জীবনের এটাই মূল পর্যায়, যৌবনকাল। আমি নিজেও এখন এমনই যুবক। আমার নাম মেইন সিক্যুয়েন্স স্টার। দীপ্তিতে আমার রক্ত ফোটার টগবগানি। কিন্তু এই যৌবন তো অনন্তকাল থাকবে না। আমার মত সাধারণ একটি তারার স্থিতিশীল এই যৌবন মোটামুটি দশ হাজার কোটি বছর স্থায়ী হয়। এই সময়ে কোর বা কেন্দ্রস্থলের সমস্ত হাইড্রোজেন রুপান্তরিত হয়ে যায় হিলিয়ামে। কিন্তু কোর অঞ্চলের চারপাশ ঘিরে যে খোল সেখানে তখনও হাইড্রোজেন মজুদ রয়েছে আর তাতে চলছে সংযোজন। তবে কোর এলাকার সংযোজন থেমে যাওয়ায় খোলে যতটুকু বিকিরণ চাপ তৈরি হয় তা কখনোই কোর বা বাইরের স্তরকে মাধ্যাকর্ষণ টানের বিরুদ্ধে ধরে রাখতে পারবে না। তখন কেন্দ্রাভূমুখী আকর্ষণে আমার কোর অঞ্চলে সংকোচন শুরু হবে। এই সংকোচন আবার শক্তি উৎপন্ন করলে কোর এলাকার জমা বস্তু উত্তপ্ত হতে থাকবে। কেন্দ্রস্থলের হাইড্রোজেন দহন বন্ধ হওয়ার অল্প সময় পরই কোর অঞ্চল আগের চেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। তাতে খোলেরও উত্তাপ বেড়ে গিয়ে সেখানে হাইড্রোজেনের দহন-হার বেশি হবে। খোলে তখন শক্তি উৎপাদন বেড়ে যাবে। এই উৎপন্ন শক্তির একাংশ আমার শরীরের বাইরের অংশ ফুলিয়ে দেবে। নিট ফল হিসেবে বহিরাংশের তাপমাত্রা কমে যাবে। রামধনুর নিয়ম অনুযায়ী তাতে আমার গাত্রবর্ণ ক্রমশ লাল হতে থাকবে। তখন আমার শেষ সময়। বুকে হৃদ-স্পন্দন থেমে গেছে। তবুও বেঁচে আছি প্রাণটুকু শরীর থেকে বার না হয় যে কয়েক মুহূর্ত। শরীরের বাইরের স্তর ক্রমশ ভীষণভাবে ফুলে যাবে আর আমার রং হবে পুরোপুরি লাল। আমি মুমূর্ষু চোখ মেলে চেতন-অবচেতনের ঘোরে দেখব কাছাকাছি কোন গ্যাস ও ধুলোর মেঘে আবার কোন না কোন তারার ভ্রূণ বা প্রোটোস্টার তৈরি হচ্ছে। আমার চারপাশে দুরন্ত বেগে ছোটাছুটি চলবে যৌবনদীপ্ত শতসহস্র তারকার, তারা কেউ কেউ হয়তো আমার পরিণতি দেখে বিমর্ষ হবে আমাকে দেখিয়ে একে অন্যের কানে ফিসফিস করে বলবে, ‘ওই দেখো, একটা রক্ত দানব।’

কোন মানুষ কি তখন আমার এই রক্তিম গরিমা দেখে মুগ্ধ উচ্ছ্বাস জানাবে বা কবিতা বানাবে ? থাকবে কোন মানুষ তখন ? কারণ আমার আকার ফুলেফেঁপে এমন হয়ে যাবে যে আমি বুধ-শুক্রকে গ্রাস করে পৃথিবীকে ছুঁয়ে ফেলেছি। আমার গরম নিঃশ্বাসে পৃথিবী তখন একখণ্ড পোড়া কয়লা। সেই সময়েই আবার হঠাৎ বুকের ধুকপুকুনি শুরু হবে। আমার মৃত্যুর আগে শেষ জ্বলে ওঠা। কোন অঞ্চলে ক্রমাগত সংকোচন হতে হতে তা এমন উত্তপ্ত হয়ে উঠবে যে আবার তাপ সংযোজন প্রক্রিয়া ঘটার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। কোর এলাকার তাপমাত্রা তখন 100 কোটি কেলভিন। এই অবিশ্বাস্য তাপে তিনটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস সংযোজিত হয়ে জন্ম দেবে একটি কার্বন নিউক্লিয়াসের। আবার প্রবল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হতে থাকবে। এতে কোর অঞ্চলে ঘটবে প্রসারণ আর খোলে ঘটবে সংকোচন। কিছু বছর এই প্রক্রিয়া চলবে যতদিন না কোর অঞ্চলের হিলিয়াম জ্বালানি নিঃশেষ হয়ে যায়। 

এবার আমার প্রকৃত মৃত্যুর সময়। কেন্দ্রের সব হিলিয়াম পরিণত হয়ে গেছে কার্বনে। হৃদপিণ্ডের ধুকপুকুনি শেষবারের মতো থেমে যাবে, বন্ধ হয়ে যাবে শক্তি উৎপাদন। কোর অঞ্চলে শুরু হবে আবার সংকোচন। আমার মত বা আমার চেয়ে কম ভরের তারাদের অন্তরে জ্বলে ওঠার আর শক্তি থাকবে না যাতে কোর অঞ্চলকে আবার যথেষ্ট উত্তপ্ত করে তুলতে পারবে পরবর্তী পর্যায়ে তাপ সংযোজন প্রক্রিয়ার জন্য যেখানে কার্বন পরিণত হবে আরও কোনো ভারী মৌলে। অভ্যন্তরস্থ মাধ্যাকর্ষণজনিত টানে আমি ক্রমশ গুটিয়ে যেতে থাকব। মরণোন্মুখ সত্ত্বার মতো আমাকে পাংশু দেখাবে, আমার গাত্রবর্ণ হয়ে যাবে ফ্যাকাসে সাদা। আমি তখন একটি শ্বেত বামন। ওই যে বীণা নক্ষত্রমন্ডলে দেখা যাচ্ছে অঙ্গুরীয় নীহারিকাকে, সেও একটি শ্বেত বামন হতে চলেছে। তার গায়ের আংটি সেকেন্ডে ১৯ কিলোমিটার বেগে প্রসারিত হচ্ছে। তার এই মরণদশা শুরু হয়েছে ৬০০০ বছর আগে।

তারকার সংকোচন শুরু হলে ইলেকট্রনগুলি পরস্পরের কাছাকাছি আসে। আরও কাছাকাছি আসার বাধা তখন বাড়তে থাকে। খুব বেশি ঘনত্বে এই বাধা চাপ সৃষ্টি করে। এই ধরনের তারাকে বলে অধঃপতিত শ্বেত বামন। এক চামচ শ্বেত বামন তারার বস্তু নিলে তার ওজন হবে কয়েক টন। পৃথিবীর সমান আয়তনের একটি শ্বেত বামনে যে পরিমাণ বস্তুভর সংকুচিত হয়ে জমে থাকবে তা আমার মোট ভরের সমান। শ্বেত বামন তারকা জীবনের একটি স্থিতিশীল পর্যায় যার ভর আমার ভরের ১. ৪ অংশের কম হবে। এই পরিমাণ সৌরভরকে বলা হয় চন্দ্রশেখরের সীমা। শ্বেত বামন আসলে হবে আমার মৃতদেহ।

আমার মত বা আমার চেয়ে ছোট তারকার জীবন এরকমই। কিন্তু আমার চেয়ে আয়তনে আরও বড় তারার জীবনটা কেমন ?অতিকায় আয়তনের তারাদের কোর অঞ্চলের তাপমাত্রা হয় অনেক বেশি, আর তাই হাইড্রোজেনের দহন হয় খুবই দ্রুত। আমার কেন্দ্রস্থলের সমস্ত হাইড্রোজেন জলে নিঃশেষ হতে লাগবে দশ হাজার কোটি বছর, কিন্তু আমার চেয়ে ১৫ গুণ বড় যে তারা সে তার কেন্দ্রের সমস্ত হাইড্রোজেন জ্বালিয়ে শেষ করে ফেলবে মাত্র এক কোটি বছরে। তাই আমার মত কম ভরসম্পন্ন নগণ্য তারাদের চেয়ে অতিকায় ভরসম্পন্ন তারাদের জীবনে মূল পর্যায় খুবই ক্ষণস্থায়ী। অতিকায় তারাদের কোর অঞ্চলের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে নিজের অভিকর্ষজ টানে তারা ধসে যেতে থাকবে। কোর অঞ্চলের তাপমাত্রা তাতে ক্রমশ বাড়বে। কিছু উত্তাপ বাইরের স্তরে স্থানান্তরিত হয়ে যাবে। খোল বা বাইরের স্তরে হাইড্রোজেন দহন তাতে দ্রুততর হবে আর সেটা আয়তনে বাড়বে। মূল পর্যায়ের জীবন শেষ হলে অতিকায় তারা রক্তদানব তারার চেয়ে অনেক অনেক বেশি বড় আর উজ্জ্বল হবে। তাকে তাই বলা যায় রক্তিম মহাদানব। কোর অঞ্চলের উত্তাপ বেড়ে ১০০ কোটি কেলভিন হলে হিলিয়াম দহনের সূচনা ঘটবে। খুব কম সময়ে এদের কেন্দ্রস্থলে এমন ঘন ঘন পরিবর্তন চলতে থাকবে যে বুঝিয়ে বলা মুশকিল। রক্তিম মহাদানব অবস্থায় পৌঁছলে একসময় ওই অতিকায় তারায় ঘটবে বিস্ফোরণ। দেখা গেছে, কোর অঞ্চলে পরের পর তাপ সংযোজন প্রক্রিয়া যখন প্রভূত পরিমাণ লোহা উৎপন্ন করবে তখনই বিস্ফোরণ ঘটার সময়। এই বিস্ফোরণের অবস্থাকেই বলা হয় সুপারনোভা। মহাকাশের এ এক অতিকায় উৎসব। যে ক’টি দিন বা সপ্তাহ স্থায়ী হয় এই মহাবিস্ফোরণ, সুপারনোভা নির্গত আলোক বন্যায় সমগ্র গ্যালাক্সি ভেসে যায়। সুপারনোভা বিস্ফোরণ বিশালাকায় তারকার মৃত্যু ঘোষণা করে। 

আমার সংসারে প্রাণ আছে কেবল পৃথিবীতে। সেখানে মানুষ যে আধুনিক সভ্যতা গড়ে তুলেছে তাতে তারা লিপিবদ্ধ করে রেখেছে কিছু সুপারনোভা বিস্ফোরণের ঘটনা। ১০৫৪ সালের জুলাই মাসে মহাকাশের সুদূর কোন অঞ্চলে এত বড় এক সুপারনোভা দেখা গিয়েছিল যে দিনেও তার উজ্জ্বল দর্শন পাওয়া যেত পৃথিবীর আকাশে। টরাস নক্ষত্রমন্ডলে দেখা যায় এক বিশেষ বস্তু যার নাম রাখা হয়েছে কর্কট নীহারিকা। এটি আসলে এক সুপারনোভা বিস্ফোরণের ধ্বংসাবশেষ। আমি যে গ্যালাক্সির হাজার কোটি তারার একজন, সেই আকাশগঙ্গা গ্যালাক্সিতে সুপারনোভা দেখা যায় ৩০ থেকে ৫০ বছর পর পর। সুপারনোভার ধ্বংসাবশেষ কিন্তু নতুন ও ছোট তারাদের জন্মের সূতিকাকার। ধ্বংসের মধ্যেই নিহিত থাকে সৃষ্টির বীজ।

কখনো কখনো বিশেষ অবস্থায় মৃত তারকার দেহ মহাকাশের আরেক মহা রহস্যময় বস্তুর জন্ম দিতে পারে। চলতি কথায় তাকে আমরা জানি কৃষ্ণ গহ্বর বা ব্ল্যাক হোল নামে। অবশ্য আমার মত বা আরও ছোট তারকাদের কৃষ্ণ গহ্বর হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কোন্ তারা তাহলে কৃষ্ণ গহ্বর হতে পারে ? সে অন্য গল্প।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *