অমিতাভ সরকার

ভরিয়া পরান শুনিতেছি গান 

মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়

গানের অনুষ্ঠান চলছে। শিল্পীর কাছে বিভিন্ন রকম গানের অনুরোধ আসলেও তিনি কিন্তু সেসব গানের সঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামের গান কিছুটা জোর করেই শ্রোতাদের শোনাচ্ছেন। এ নিয়ে কার্যকর্তারা অসন্তুষ্ট হচ্ছেন, কিন্তু তাঁকে দমানো যাচ্ছে না। কিছু সময় লাঞ্ছিতও হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন, তবু হার মানেননি। তখন সময়টা এমন, যে বিদ্রোহী কবিকে মানুষ কার্যত ভুলতে বসেছে, ভুলতে বসেছে তাঁর অমর সৃষ্টি সেইসব অসাধারণ গানগুলোকেও। মানুষটি মনে মনে খুব ব্যথা পেয়েছিলেন। অন্তরের এই কষ্ট থেকেই শপথ নিয়েছিলেন যে, যে করেই হোক, নজরুলের গানের সেই হারিয়ে যাওয়া জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনবেনই। এনেও ছিলেন। পাঠক বুঝতেই পারছেন, যাঁর কথা বলছি, তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। 

বাড়িতে সঙ্গীতের চর্চা ছিল। গানটাকেও প্রাণ দিয়েই ভালোবাসতেন। গানের কথা আর সুর ছিল তাঁর অন্তরের আবেগ। তাই গানের অমর্যাদা তিনি সইবেন কেন! কাকা রত্নেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কবি নজরুল। কিশোর বয়সে মধুর কণ্ঠে কীর্তন শুনে নজরুল ওঁকে তাঁর লেখা দুটো গান শিখিয়েছিলেন, ‘সখী সাজায়ে রাখ লো পুষ্পবাসর’, ‘হে মাধব, হে মাধব’। এসব তো গেল আগের কথা।

সময়টা এমন, কবি অসুস্থ হওয়ার সুবাদে কবির গানও মানুষ ভুলতে বসেছে। সন্তোষ সেনগুপ্ত সেইসময়ই গ্রামোফোন কোম্পানির রেকর্ডিং অফিসার হয়ে আসেন। উনি পরিস্থিতিটা উপলব্ধি করে

‘বেস্ট লাভ সং অব নজরুল’ নামে যে এলপি বার করেন, তাতে মানবেন্দ্রকে দিয়ে দুটো গান গাওয়ালেন,’এত জল ও কাজল চোখে’, আর ‘বউ কথা কও।’ এত হিট হলো, যে স্পেশাল ইপি হলো। 

‘ভরিয়া পরান শুনিতেছি গান’ রেকর্ডের লেবেলে প্রথমবার লেখা হলো ‘নজরুলগীতি’ (আগে লেখা হতো, ‘সংঙস অব কাজী নজরুল’ অথবা কথা ও সুর-কাজী নজরুল ইসলাম)। নজরুল রচিত প্রকৃত গানের সংখ্যা রবীন্দ্রসঙ্গীতের চেয়েও অনেকটাই  বেশি(সাত আট হাজার মতো)। 

তবে এত অসংখ্য গান লিখলেও গানের হদিশ নেই। নজরুলও তখন অসুস্থ, বাকরুদ্ধ। হারিয়ে যাওয়া নজরুলগীতির এনসাইক্লোপিডিয়া বিমান মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাগ্যিস  মানবেন্দ্রের যোগাযোগ হয়েছিল। ব্যস। বিদ্রোহী কবি নজরুলের অমর সৃষ্টি আবার জনমানসে নতুনভাবে আগ্রহ তৈরি করলো, আর তা সম্ভব হলো মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের এক অপরিসীম চেষ্টার ফলে। ‘ভরিয়া পরান, শুনিতেছি গান’,’কুহু কুহু কোয়েলিয়া’,’বাগিচায় বুলবুলি তুই’-একের পর এক নজরুলগীতির বিখ্যাত সব রেকর্ড, মানবেন্দ্র হয়ে উঠলেন নজরুল সঙ্গীতের এক অনন্য পথ প্রদর্শক।

তবে নজরুলগীতির পাশাপাশি মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বিভিন্ন কঠিন রাগ-রাগিনীর গান খুব অনায়াস সাবলীলতার সঙ্গে গাইতে পারতেন, আর গুণমুগ্ধ শ্রোতারাও তাতে সম্মোহিত হয়ে পড়তেন। রবীন্দ্রসঙ্গীতও শিখেছিলেন, তাও আবার দেবব্রত বিশ্বাসের কাছে। ‘ধরা দিয়েছি গো আমি আকাশের পাখি’ গানটি গেয়ে সেই রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথমও হয়েছিলেন। কিন্তু জর্জ বিশ্বাসের নির্দেশানুসারে পরবর্তীকালে মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় আর রবীন্দ্রসঙ্গীত গাননি। গাইলে সেটা এই প্রজন্মের অগণিত সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের কাছে একটা শিক্ষনীয় বিষয় হয়ে থাকতো। 

নিজে যেমন বাংলায় সব সুরকারদের সুরেই গান গেয়েছিলেন, তেমনি মানবেন্দ্রবাবুর সুরেও অনেক তাবড় তাবড় শিল্পী গান গেয়েছেন। গীতিকার বন্ধু শ্যামল গুপ্ত, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতির লেখা গান মানবেন্দ্র-কণ্ঠের মণিমাণিক্যে আজও চিরভাস্বর হয়ে কানে বাজে।

উল্লেখ্য, যে, পরিচালক নির্মলচন্দ্র দে-র ‘চাপাডাঙার বউ’ সিনেমায় সুর সংযোজনার কাজ শুরু করেন। গল্পের কাহিনীকার তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নবীন সুরকারকে দেখে প্রথমে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মানবেন্দ্র তাঁর সামনেই সিনেমার সিচুয়েশন জিজ্ঞেস করে কথাশিল্পীর সদ্য রচিত দুলাইন লেখা গানে সুর করে ফেলেন, যা দেখে তারাশঙ্কর অত্যন্ত বিস্মিত হন। এভাবেই মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সুরকার হিসেবে পরিচিতি ও প্রতিষ্ঠালাভ। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমায় অভিনয় করলেও আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি। ‘জলসাঘর’ সিনেমার সত্ত্ব তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন মিউজিক্যাল বায়োস্কোপ বানাবেন বলে। তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সত্যজিৎ রায় পরে এই সিনেমাটি করেন।

আপাদমস্তক সঙ্গীতপাগল মানুষটি অনেক কঠিন কঠিন গান অনায়াসে গাইতে পারতেন। গানই ছিল তাঁর অন্তরের আবেগ। গানের ভাবের অতলে গিয়ে তিনি যেমন কেঁদেও ফেলতেন, তেমনি গানের কথা, সুর ভালো না হলে চিৎকারও করতেন। যেমন, নচিকেতা ঘোষের সুরে ‘বনে নয় মনে মোর’ রাগাশ্রয়ী এই গানটির রেকর্ডিংয়ের সময় গানের মুখড়াটা একদমই পছন্দ হচ্ছিল না, তবলিয়া রাধাকান্ত নন্দীকে দিয়ে মানবেন্দ্র গানের ওই অংশে তবলার বাজনা যোগ করেন। বাকিটা ইতিহাস। কিংবদন্তী সুরস্রষ্ঠা নচিকেতা ঘোষও আনন্দে আবেগে আপ্লুত। এত বছর পরেও সেদিনের সেই রাগাশ্রিত গানটি আজও বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীদের মুখে মুখে ফেরে।

আরেকবার সলিল চৌধুরী তাঁর সুরে  লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে একটা গান তোলাচ্ছিলেন, গানটা এত কঠিন ছিল যে লতাজি বলেছিলেন, এ গান কারো পক্ষে যাওয়া অসম্ভব। সলিল চৌধুরী তৎক্ষণাৎ উত্তর দিয়েছিলেন, বাংলায় এ গান আগেই একজন রেকর্ড করে ফেলেছেন। তাঁর নাম মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। বাংলা ভার্সনে গানটা ছিল, ‘আমি পারিনি বুঝিতে পারিনি’,(উল্টো পিঠে ছিল ‘যদি জানতে গো’)। অসম্ভব একটি কঠিন তাল-লয়ের গান। অনেক পরে  কলকাতায় এলে মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়কে চিনতে কিন্নরকণ্ঠীর কোনোই অসুবিধা হয়নি। গজলসম্রাট মেহেদি হাসানও কলকাতায় এসে পরম শ্রদ্ধা নিয়ে মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন।

আগেই বলেছি বাড়িতে রীতিমতো গানের পরিবেশ ছিল। কালীঘাটে জন্মালেও মানবেন্দ্রের আদিবাড়ি ছিল বাংলাদেশে বরিশালের উজিরপুরে। রাধাকৃষ্ণের কীর্তন, মনসামঙ্গলের গান তাঁদের বাড়ির চন্ডীমন্ডপে লেগেই থাকতো। ঠাকুর্দা গজেন্দ্রনাথ কান্তকবি রজনীকান্ত সেনের সঙ্গে একই মেসে থাকতেন। দু’জনের সখ্যও ছিল বেশ। গজেন্দ্রনাথ নিজেও ভালো গান গাইতে পারতেন। বাবা অতুলচন্দ্রও সঙ্গীতানুরাগী ছিলেন। কাকা রত্নেশ্বর এবং সিদ্ধেশ্বর তো বেশ নামকরা শিল্পী ছিলেন। এই ‘মুখুজ্জে’(মুখার্জি) পরিবারে কীর্তন এবং ধ্রুপদী গানের চর্চা ছিল। কিশোর পল্টন(মানবেন্দ্রে রডাকনাম) কাকাদের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে মাথুর, রূপানুরাগ, শ্রীরাধিকার মানভঞ্জন প্রভৃতি গানে খুব অল্প বয়স থেকেই পারদর্শী হয়ে ওঠেন। 

কলকাতায় থাকলেও সারাটা জীবনই জন্মভূমির দেশ-গাঁয়ের প্রতি মানবেন্দ্রের এক অমোঘ টান ছিল।

জন্ম ১১ আগস্ট ১৯২৯। কলকাতার বাড়িতে ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় আসতেন। তাছাড়া জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ, চিন্ময় লাহিড়ী, রবিশঙ্কর, আলী আকবর খান প্রভৃতির সংস্পর্শে মানবেন্দ্রের জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে। পরবর্তীকালে মানবেন্দ্র নিজেও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, ধ্রুপদ, টপ্পা, কীর্তন সব ধরনের গান খুব সাবলীল ভাবেই গাইতে পারতেন। তাঁর সময়ে বাংলা চলচ্চিত্রে নায়ক-গায়ক রবীন মজুমদারের খুব নামডাক ছিল। মানবেন্দ্র ওঁকেই আদর্শ বলে মনে করতেন, রবীন মজুমদারের স্টাইলে সরু গোঁফ রাখতে শুরু করেন। ভেবেছিলেন রবীন মজুমদারের মতোই গান এবং অভিনয় দুটোই করবেন। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমাতেই অভিনয় শুরু এবং ওখানেই শেষ। মানুষ যা ভাবে, বিধাতা হয়তো অন্যকিছু ভেবে রাখেন। টালিগঞ্জের বাঙালপাড়ায় একসময় মহানায়ক উত্তমকুমার(তখন অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়) মানবেন্দ্রর কাছে তবলা শিখতেন। সেই থেকে ওঁদের বন্ধুত্বের শুরু। উত্তমকুমারের সঙ্গে ‘দেয়া-নেয়া’,’মায়ামৃগ’ প্রভৃতি সিনেমায় কাজও করেছেন। ‘মায়ামৃগ’ সিনেমার ‘মেটেরিয়া মেডিকার কাব্য’ গানটি খুব জনপ্রিয় হয়। এই সিনেমার সুরসৃষ্টিও তাঁর নিজের। শ্যামল গুপ্তের লেখা ‘মেটারিয়া মেডিকার কাব্য’, বা ‘আমি এত যে তোমায় ভালোবেসেছি’ গানগুলো তৈরীর ইতিহাসও বেশ চমকপ্রদ। আর ঠিক ততটাই চমকপ্রদ যে আজও এই গানগুলোর জন্যে শ্রোতাদের মনে একইরকম জায়গা রয়েছে। ‘ও আমার চন্দ্রমল্লিকা’,’ওই মৌসুমী মন শুধু রং বদলায়’,’না যেও না মধুযামিনী’, ‘যার চুড়িতে যে রেখেছি মন সোনা করে’, ‘ময়ূরকণ্ঠী রাতের নীলে’, ‘বিরহিণী চিরবিরহিণী’ এইসব কালজয়ী বাংলা গানের পাশাপাশি চাঁপাডাঙার বউ’,’মণি ও মানিক’(১৯৫৪),  ‘সাঁঝের প্রদীপ’(১৯৫৫),’উত্তরপুরুষ’(১৯৬৬)   ’দেবী চৌধুরানী’(১৯৭৪),’ইন্দিরা’(১৯৮৩) প্রভৃতি বাংলা চলচ্চিত্রে কৃতিত্বের সঙ্গে সুরসংযোজনা করেছেন। মানবেন্দ্রের যাদবপুরের নর্থ রোডের বাড়িতেও গানের মহড়া বসতো। মান্না দে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল গুপ্ত প্রভৃতি মানুষ কে না যেতেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতায় এসে মানবেন্দ্রর গানে যেমন মুগ্ধ হয়েছেন, তেমনি কবি নজরুলকেও (তখন অসুস্থ মূক ও বধির) ক্রিস্টোফার রোডের বাড়িতে গিয়ে ‘কুহু কুহু কোয়েলিয়া’ শুনিয়েছেন। এছাড়া ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, পণ্ডিত লালবাহাদুর শাস্ত্রীও মানবেন্দ্রের সুমধুর কণ্ঠযাদুতে মুগ্ধ হয়েছেন। পঙ্কজ মল্লিক, বাণীকুমার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রকৃত মহালয়ার দিনে প্রচারিত বিশেষ প্রভাতী অনুষ্ঠান ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ তে ‘তব অচিন্ত্য রূপচরিত মহিমা’ আজও আগের মতোই মুগ্ধকর। উল্লেখ্য, ‘দেবী দুর্গতিহারিণী’-তেও মানবেন্দ্র কণ্ঠদান করেছিলেন। বাংলার সঙ্গীত মহল অনেক বেশি ভালোবাসতেন, নিজে অ্যামেচারিস্ট, ভাবুক ছিলেন বলে নিজের ব্যাপারে অতটা ভাবতেন না। কলকাতাতেই থেকে গিয়েছেন, বম্বে যাননি। খুব একটা চেষ্টাও করেননি। করলে বোম্বের ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রিতে হিন্দি চলচ্চিত্রেও গায়ক এবং সুরকার হিসেবে আমরা মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়কে আরো ব্যাপকভাবে পেতাম। উনি যে রকম প্রতিভাবান ছিলেন, বিভিন্ন জটিল সুরের গানকে যেমন মুন্সিয়ানার সঙ্গে পরিবেশন করতেন, সেই অনুযায়ী সম্মান বা কাজ তাঁর যে অনুপাতে পাওয়া উচিত ছিল, তা তাঁকে দেওয়া হয়নি, বা নিজেও অতকিছু ভাবেননি। সঙ্গীতকেই ভালোবেসেছেন, তাতেই মনপ্রাণ সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছেন। আর কিছু চিন্তা করেননি।  

নিজের জীবনেও মানবেন্দ্র বেশ হৃদয়বান, উদার মনের ছিলেন। স্ত্রী  বেলা মুখোপাধ্যায়, এবং একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ছিল সংসার।

হার্ট অ্যাটাকে মাত্র বাষট্টিতেই

মৃত্যু ১৯ শে জানুয়ারী ১৯৯২ সালে। 

আদরের কন্যা প্রতিষ্ঠিত শিল্পী মানসী মুখোপাধ্যায়ও আজও তাঁর সংগীতসাধক পিতার স্মৃতি বহন করে চলেছেন। এই কিংবদন্তী সঙ্গীত সাধককে আপামর সঙ্গীতানুরাগীদের হয়ে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শতকোটি প্রণাম জানাই। আজও ‘কে গো আমার সাঁঝগগনে’,’ভোরের ঝিলের জলে’,’কেন কাঁদে পরান’,’পলাশ ফুলের মৌ পিয়ে ওই’,’কোন কূলে আজ ভিড়ল তরী’,’আধো আধো বোল’ প্রভৃতি নজরুল গীতি তাঁর রেকর্ডে আজও মন ভালো করে দেয়। আজও মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় অদ্বিতীয়।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *