তিনি  শিল্পী হলেও গত তিন দশক থেকে বিশেষ পরিচিত হয়ে উঠেছেন তাঁর কবিপ্রতিভার জন্য । শিল্পী হিসাবে প্রথম আত্মপ্রকাশ ১৯৯৪ সালে কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ। প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল ২০০৫ সালে। মোট তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অগাধ জলে খড়কুটো’ পাঠকদের প্রশংসা অর্জন করেছে। এছাড়াও দীর্ঘ সময় ধরে তিনি নীললোহিত পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

গৃহপালিত

খণ্ডমেঘ বিদ্রুপ করেছে তুমি মধ্য সংসারী
একটা ঘোরের মধ্যে বাঁক নিচ্ছ, নদীতে শরীর
ডুবছে ভাসছে, আমার গৃহপালিতের নুনভাতে
অনেক কষ্ট, তবুও আমি আকাশ শুঁকতে শুঁকতে
হঠাৎ বৃষ্টির জলে দেখলাম ছুটন্ত স্টীমার
খিদের আগুনে সেদ্ধ ডিমের সমস্ত ভিটামিন
খাবে বলে হাঁকপাঁক করছে খুব, আমি ভ্যাবাচ্যাকা
খেয়েও হেঁচকা টানে জলকাটা সুনিপন ব্লেড
যেই এড়ালাম অমনি নদীস্রোতে এসে
আমাকে ভাসিয়ে দিল ফাল্গুনের বীর যুবক সুখে
এমাথা ওমাথা লম্বা এক পাতা স্যারিডন ছুঁড়ে
যখনই দিয়েছ তুমি বুঝেছি পালাতে হবে ঠিক
এক্ষুনি, কেননা আমি বরাবর আত্মপ্রতারক
আমার সর্বাঙ্গ জুড়ে প্রবণতা, সেঁকোবিষ, অমৃত ওষুধ

ফেউ

আমার পিছনে ফেউ সামনে একটা ভাঙা রথ
সারথি পালিয়ে গেছে, ঘোড়াটা উম্মাদ
অন্যের ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে ঘেঁটে আমি
অসংখ্য কালো ছাপ, নীলকন্ঠ মণি
উদ্ধার করেছি, শুধু ধারণক্ষমতা জেনে নিতে
ঢুকেছি, বসেছি এই গলিত শ্মশানকক্ষে
শুনছি নির্বিকার রস মাংসের পটপট শব্দ
এই ঘরে আমার জন্যে কোনো চিতা নেই
আগুনের পবিত্র ছোঁয়া নেই
শুধু ওই পিছনের ফেউ উঁকি মারে —
নিজের বিশ্বস্ত মুখ আদ্দেক আঁকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *