জেবুন্নেছা জোৎস্না
কিছু মৃত্যু’র প্রয়োজন আছে বাঁচার তাগিদে-
যেমন কিছু দুবলা ঘাস, রুপান্তরের যন্ত্রণায়
মৃত ক্যাটারপিলার, অথবা রঙিন প্রজাপতি
ভক্ষণকারী ব্যাঙের মরণ লিক লিকে সাপের জিভে।
সবকিছুই ঠিক আছে এ জনপদে
ইকোসিস্টেমে ভারসাম্য বজায় রাখতে!
তবু, এই অনিবার্য মৃত্যু খেলায়
মহাকাব্যের সূত্র ধরে কাঁচের শহর চিনে
হে বীর, তুমি এসেছিলে ইতিহাসের ধ্বংসযজ্ঞে!
.
তোমার বলার পরেও যে শব্দটুকু রয়ে গেছে নিখোঁজ
বাংলায় সংলাপ- সমীকরণে —
বহুব্রীহী বচনে আবাদিত সে ধ্বনি-
যেন শব্দের আকাশে নিঃশব্দে কাঁদে স্বপ্নময় যুবক—
সুযোগের অপেক্ষায় আস্তাবলে হর্ষ ধ্বনিতে উল্লসিত
মানুষ রুপী দাঁতাল জানোয়ারের চকচকে খড়গ!
.
হেরেছে প্রেমিক অস্ত্র হাতে
ভুলে গেছে মুঠো বকুলে প্রভাত ফেরীর সততা—
কবিতার সুকুমার পক্তি’র নারীরা আজ
সমাজে রঙ-ছাঁচা নামকরা পতিতা!
অধিপতি’র চোরাবালির ঘরে
এখানে সভ্যতার ধর্ষণ প্রকাশ্যে চলে –
রাতের ডানায় বাতাসের শোঁ শোঁ কানা-কানি—
সময় হাসে যে বড় উপহাসে!
.
সংঘবদ্ধ প্রেতাত্মার সর্তকীকরণ উপেক্ষা করে
উপসংহারে তখন জোড়া-তালির পদ্যে
ভাঙ্গা চুড়ির অসমাপ্ত গল্পের সন্ধ্যা নামে –
মৃত সভ্যতার হিম প্রত্নতত্বে—
হে বঙ্গবীর, যেথায় তুমি ছিলে! প্রতিভাস ম্যাগাজিন