একবার এক কুঁচ তেলের কোম্পানি কয়েক শিশি তেল উপহার দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে একটা প্রশংসাপত্র লিখে দিতে বলে। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘এদের কুঁচ তেল ব্যবহার করিয়া যৎপরোনাস্তি আনন্দ পাইয়াছি। আমার মস্তকের দুইস্থানে দুইটি টাক ছিল। এখন দুইয়ে মিলিয়া একটা টাকে পরিণত হইয়াছে। এদের তৈলের গুণ অসাধারণ।’
.
.
শিবরাম চক্রবর্তী একদিন শুধু একটা গেঞ্জি গায়ে বাজারে এসেছেন। একজন পরিচিত লোক তাঁকে এরকম অবস্থায় দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আরে একি শিবরামবাবু, আপনি এই অবস্থায় ?’ শিবরাম বললেন, ‘ঘুম ভেঙে দেখি জামাকাপড় সব চুরি হয়ে গেছে।’ পরিচিত ভদ্রলোকটি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তাহলে আপনার কি আর কোন জামাকাপড় নেই ?’ শিবরাম বললেন, ‘আছে ভাই, কিন্তু সে তো লন্ড্রিতে আর লন্ড্রির রশিদও সেই চুরি হওয়া জামার পকেটেই থেকে গিয়েছে।’
.
.
একবার সরোজিনী নাইডু ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়কে বলেছিলেন, ‘বিধান, তোমার বয়স তো প্রায় ষাট হল। এখনও হাসতে গেলে তোমার গালে টোল পরে কেন?’ বিধানচন্দ্রের জবাব, ‘সরোজিনী, তুমিতো ষাট পেরিয়ে গেছ। এখনও তোমার ওদিকে নজর কেন ?’
.
.
মধুসূদন কিছুদিন কলকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টার হিসেবে কাজ করেছিলেন। হাইকোর্টে যেতেন তিনি ঘোড়ার গাড়িতে চেপে। একদিন ঘোড়ার গাড়িতে ওঠার সময় পা পিছলে পড়ে বেশ আঘাত পান। আঘাত এত বেশি ছিল যে তাঁকে কিছুদিন বাড়িতে শয্যাশায়ী হয়ে থাকতে হয়। খবর পেয়ে সিউড়ির জমিদার দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় তাঁকে দেখতে যান। কী হয়েছে জানতে চাইলে মধুসূদন মৃদু হেসে জানালেন, ‘ভগ্ন-ঊরু ! কুরুক্ষেত্র রণে !’
সংগৃহীত