প্রেম ও বৈরাগ্য
আশিস ভৌমিক
লেখক পরিচিতি
(জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন । প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।
– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)
২৫
কবীর কথা :-
জো খোদার মসজিদ বসতু হৈ
ঔর মুলুক কোহকেরা।
তীরথ মূরত রাম নিবাসী
বাহর করেকো হেরা।
পূরব দিশা হরিকো বাসা
পশ্চিম আল্লাহ মুকামা।
দিলমে খোঁজি দিলহিমে খোঁজো
ইহৈ করিমা রামা।
জেতে ঔরত মরদ উপানী
সো সব রুপ তুমহারা।
.
কবীর পোংগরা অলহ রামকা
সো গুরু পীর হমারা।
অনুবাদ:-
খোদা যদি মসজিদে রয়
বাকি মুলুকে কাদের বাস?
তীর্থে মূর্তি রাম নিবাসী
বাইরে তবে কার আশ্বাস?
.
পূব দিকে হরির আবাস
পশ্চিমে আল্লা
হৃদয় মাঝে খুঁজে দেখো
রাম নারায়ণ খোদাতালা।
.
যত নারী যত পুরুষ
সবাই যেনো তাঁহার রুপ
রাম রহিমের পুত্র কবীর
তিনিই গুরু তিনিই পীর।
২৬
কবীর কথা :-
কায়া নগর মাঝার
সাঁই খেলৈ হোরী।
গাবত রাগ সরস সুর সোহৈ
অতি আনন্দ ভরোরী।
শরীর মহলমে বাজে বাজা
জগমগ জোত্ উজেরী।
সহজ রঙগ্ রঙ রহ্যৌ সকল তন
ছুটন নাহিঁ কারেরী।
অনদহ বাজে মধুর ধুম
বিন করতাল তনবুরা।
বিন রসনা জঁহা রাগ ছতিশোঁ
হোত মহানন্দ পুরা।।
অনুবাদ:-
কায়া নগরে খেলে হোলি
নন্দের দুলাল
সরস গানের রাগ রাগিনী
শুনি প্রেম করতাল।
শরীর মহলে বাজে জগমগ ধ্বনি
আনন্দে মাতোয়াল।
সহজীয়া রঙে রাঙাইল তনু
এ খুশির নেই অবসান।
আনন্দ যজ্ঞে বাজিছে মধুর ধূম
বিনা করতাল তানপুরা
বিনা রসনায় বাজে ছত্রিশ রাগিনী
মহানন্দে ভরপুরা ।।
দোহা:-
পোথি পঢ় পঢ় জগ মুয়া পণ্ডিত ভায়া না কোয়
ঢাই অকশর প্রেম কা পঢ়ে সো পণ্ডিত হোয়
অনুবাদ:-
পুঁথি পড়ে পড়ে মরলো জগত, পণ্ডিত হলো না কেউ
আড়াই অক্ষর প্রেম পড়ে যে, পণ্ডিত হলো সে-ই।
(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)