সাহিত্যিক দামোদর মুখুজ্জে সম্পর্কে ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্রের বেয়াই। শাস্তি নামে একটি উপন্যাস লিখে তিনি বঙ্কিমচন্দ্রকে উপহার দিয়েছিলেন। উপহার পেয়ে বঙ্কিমচন্দ্র উত্তরে দামোদর মুখুজ্জের উদ্দেশ্যে লিখলেন, ‘প্রিয়তমেষু শাস্তিপ্রাপ্ত হইলাম। ইহলোকে পাইলাম, পরলোকেও ভরসা করি দামোদর বঞ্চিত করিবেন না।’ 

দামোদর মুখুজ্জে বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকটি উপন্যাসের উপসংহার লিখেছিলেন। সেইসব উপসংহার বিশেষ সুবিধের হয়নি। বঙ্কিমচন্দ্রও পছন্দ করেননি। তাই তিনি দামোদরকে ঠাট্টা করে বলেছিলেন, ‘আপনি আমার উপন্যাসের উপসংহার লিখে আমাকে সংহার করেছেন।’ 

.

.

একদিন বাদশাহ আকবর বীরবলকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আমি বড় না ঈশ্বর বড় ?’ বীরবল বললেন, ‘আপনিই বড়।’ বাদশাহ বললেন, ‘কিসে ?’ বীরবল উত্তর দিলেন, ‘আপনি ইচ্ছে করলে যে কোন প্রজাকে রাজ্য থেকে বার করে দিতে পারেন। কিন্তু ঈশ্বর কোন প্রজাকে তার নিজ রাজ্য থেকে বার করে দিতে পারেন না।’ উত্তর শুনে আকবর হাসতে লাগলেন।

.

.

রসরাজ অমৃতলাল বসুর সঙ্গে দেখা করার জন্য এক ভদ্রলোক থিয়েটারে গিয়ে তাঁর ঠিকানা চান। কোন অভিনেতা তাঁকে  ঠিকানা দেন, এক নং মৈত্র লেন। ভদ্রলোক অনেক খোঁজাখুঁজি করে শেষপর্যন্ত বাড়ির হদিশ পান। অমৃতলালের সঙ্গে দেখা হতে তিনি বললেন, ‘ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে বড় হয়রান হয়েছি। মৈত্র লেন আর খুঁজে পাই না। এ যে দেখছি রায়চন্দ্র মৈত্র লেন, তা-ও ১ বাই ২ নম্বর।’ অমৃতলাল জানতে চান, ‘কে আপনাকে ঠিকানা দিয়েছে?’ ভদ্রলোক বললেন, ‘থিয়েটারের কোন এক অভিনেতা হবে।’ অমৃতলাল মন্তব্য করেন, ‘ঠিকই হয়েছে। জানেন তো, অভিনেতারা অর্ধেক মুখস্থ করেন আর অর্ধেক থাকে প্রম্পটারের হাতে।’

.

.

বিদ্যাসাগর ছাত্রদের শারীরিক শাস্তি অপছন্দ করতেন। সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ থাকার সময় তিনি প্রায়ই ক্লাসে ক্লাসে টহল দিয়ে বেড়াতেন। একদিন একজন অধ্যাপকের ডেস্কের ওপর একগাছা বেত রয়েছে দেখে কারণ জিজ্ঞেস করলে অধ্যাপক বললেন, ‘ম্যাপ দেখানোর সুবিধের জন্য এনেছি।’ বিদ্যাসাগর হেসে বললেন, ‘রথ দেখা আর কলা বেচা দুই-ই হবে। ম্যাপ দেখানো হয় আর ছেলেদের পিঠে দু-এক ঘা বসানো হয়, কী বলেন ?’ অধ্যাপক ঘাড় হেঁট করে রইলেন।

সংগৃহীত 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *