মংপুতে থাকার সময় রবীন্দ্রনাথ মধুর ওপর একটি কবিতা লিখে প্রবাসীতে পাঠান। কবিতা ছাপা হওয়ার পর এক অজানা ভক্ত এক বোতল মধু পাঠান। রবীন্দ্রনাথ সেটা মৈত্রেয়ীদেবীকে দেখিয়ে বললেন, ‘দেখছ তো, মধুর বিষয়ে কবিতা লেখার পর কেবল মধু আসছে।’ ওই কথা শুনে একজন বলে উঠলেন, ‘এর চেয়ে আপনি যদি চাল-ডাল-তেলের ওপর কবিতা লিখতেন তবে চাল-ডাল ঘরে আসত। সংসারের খরচ কিছুটা বাঁচত।’
.
.
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী লেখাপড়ার কাজে ব্যস্ত থাকলে তাঁর গৃহিণী প্রায়ই এসে সাংসারিক কথাবার্তা শুরু করতেন।শেষে একদিন গৃহিণী ওইভাবে কথা শুরু করতেই তিনি যাত্রাভিনয়ের ঢঙে হাত নেড়ে বললেন, “লিখিতে পড়িতে দিলে কই? বিবা’বধি নিরবধি জানিনা আর তোমা বই।” শাস্ত্রীমশাই ছিলেন খাদ্যরসিক। গৃহিণী আবার বিশেষ রান্নাবান্না করতেন না। এই নিয়ে একদিন অনুযোগ করলে গৃহিণীও যাত্রা অভিনয়ের মত হাত নেড়ে বললেন, “রাঁধিতে বারিতে শিখিতে দিলে কই ? বিবা’বধি নিরবধি জানিনা আর আঁতুড় বই।”
.
.
রজনীকান্ত তখন ক্যান্সার রোগে মরণাপন্ন। এসময় একদিন লাহামশাই স্বরচিত “আরাম” বইখানি তাঁকে উপহার দিলেন। রজনীকান্ত বইটি হাতে নিয়ে পরিহাস করে বললেন, “আমার এই ব্যারামে আরাম দিলেন বেশ।”
.
.
দীনবন্ধু মিত্র একবার বঙ্কিমচন্দ্রকে লোক মারফৎ একজোড়া কাপড়ের জুতো পাঠিয়ে সঙ্গে চিরকুটে লিখে দেন, “কেমন জুতো!” বঙ্কিমচন্দ্রও সেই একই লোককে একটি চিরকুট লিখে জবাব পাঠিয়ে দেন, “তোমার মুখের মতো!”