গান্ধীজি এসেছেন শান্তিনিকেতনে। রবীন্দ্রনাথ বেগুন ভাজা দিয়ে ফুলকো লুচি খেতে ভালোবাসতেন। তাঁর পাতে লুচি দেখে গান্ধিজি আঁতকে উঠে বললেন, ‘এসব খান নাকি আপনি ? এ যে সাক্ষাৎ বিষ।’ রবীন্দ্রনাথ হেসে বললেন, ‘বিষ ঠিকই। তবে তার প্রতিক্রিয়া খুবই ধীর। ষাট বছর ধরে এ বিষ খাচ্ছি।’

.

.

নীলদর্পণের নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র সধবার একাদশী নামে একটি অসাধারণ প্রহসন লিখেছেন। ওই নাটকের নায়ক নিমচাঁদ উচ্চশিক্ষিত। ইংরেজি সাহিত্যের ও সাহেবি আদব-কায়দার ভক্ত। মদ খেয়ে যখন-তখন মাতলামি করে। ওই নাটক পড়ে মধুসূদনের কয়েকজন বন্ধু দীনবন্ধুর কাছে ছুটে এসে অভিযোগ করেন, ‘আপনি নিম চাঁদের মধ্য দিয়ে মধুকে এইভাবে ব্যঙ্গ করেছেন। এটা কি উচিত কাজ হল ?’

.

.

কবি নবীনচন্দ্র সেনের এক পিতৃবন্ধুর বন্ধুর ধারণা ছিল যে তাঁর মত বাংলা বুঝি আর কেউ জানে না। নবীনচন্দ্রের সঙ্গে দেখা হলেই তিনি প্রশ্নর পর প্রশ্ন করে তাঁকে জ্বালাতন করেন। একদিন তিনি নবীনচন্দ্রকে প্রশ্ন করলেন, ‘বলতো সন্ধি কাকে বলে। না পারলে কানমলা দেব।’ নবীনচন্দ্র উত্তর দিলেন, ‘যা করের সঙ্গে কর্ণের সংযোগ ঘটায় তার নাম সন্ধি।’

.

.

শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক পন্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন একদিন এক সভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ লক্ষ করলেন দু’-একজন ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলা আলস্যে হাই তুলছেন। সেনমশাই হঠাৎ বক্তৃতা থামিয়ে বললেন, ‘হিজ হাইনেস হার হাইনেস সকলে এসে গেছেন দেখছি। এবার আমার বক্তৃতা থামানো উচিত।’ 

সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *