একবার এক অভিনেতা আবেগতাড়িত কন্ঠে শিবরাম চক্রবর্তীকে বলেছিলেন যে
সিরাজদৌল্লা নাটকটিকে বাঙালির জাতীয় নাটক হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। উত্তরে শিবরাম বলেছিলেন, ‘ভাই, জাতীয় নাটক কিনা জানিনা, তবে ওটা নাটকজাতীয় সন্দেহ নেই।’
.
.
কর্মজীবনে রজনীকান্ত সেন ওকালতি করতেন। একদিন কোর্টে চেম্বারে বসে অন্যান্য উকিলবাবুদের কাছে তিনি এক রাখালের গল্প বলেছিলেন। রাখাল পথ দিয়ে যাচ্ছিল, সঙ্গে ছিল তার বলদ জোড়া। একটি বলদ মোটা, অন্যটি খুব রোগা। রাখালের পিছনে এক উকিলবাবু আসছিলেন। তিনি রাখালকে ডেকে জানতে চাইলেন, একটা গরু এত মোটা আর অন্যটা এত রোগা কেন। রাখাল কি খেতে দেয় না ? রাখাল নিরীহ গলায় জানাল, ‘বাবু মোটাটা হচ্ছে উকিল আর রোগাটা তার মক্কেল।’
.
.
কোন এক পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে অনুরাগী ভক্তরা এলেন কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে। এঁদের মধ্যে সুকুমার রায়ও ছিলেন। কবি সবার জলযোগের জন্য ফল ও মিষ্টির ব্যবস্থা করলেন। সুকুমার রায় ফল খেলেন না, শুধু মিষ্টি খেলেন। কবি তাঁকে বললেন, ‘দেখো সুকুমার, শুনেছিলাম তুমি গীতা পাঠ করছ। তা তোমার গীতা পাঠ সার্থক হয়েছে।’ শুনে সুকুমার রায় তো বটেই, অন্যরাও বেশ অবাক হলেন। একজন জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিরকম গুরুদেব?’ কবি হেসে বললেন, ‘তা না হলে এমন মা ফলেষু কদাচন ও শিখলো কোথা থেকে ?’
.
.
বৃক্ষরোপণ উৎসব চলছে শান্তিনিকেতনে। আচার্য ক্ষিতিমোহন সেন বৃক্ষরোপণ করতে যাবেন আর হঠাৎ প্রবল বৃষ্টি নামল। প্রায় সবাই বৃষ্টিতে ভেজার ভয়ে ছুটে পালাল সামনের ঘেরা বারান্দায়। ক্ষিতিমোহন তাঁর সঙ্গে ভিজতে থাকা সঙ্গীকে বললেন, ‘ওরা সব ভিজিওয়ানা গ্রামের লোক।’ সঙ্গী ভদ্রলোক বললেন, ‘আর আমরা হলাম জলপাইগুড়ির লোক।’
সংগৃহীত