বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিক অস্কার ওয়াইল্ডকে একবার কেউ জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আপনি কখন কাজ করেন ?’ ওয়াইল্ড কিছুমাত্র দেরি না করে প্রশ্নকর্তাকে জবাব দিলেন, ‘কাজের ইন্টারভেলগুলিতে।’
.
.
উচ্চারণের মিল সংক্রান্ত অসাধারণ একটি রসিকতা আমাদের উপহার দিয়েছেন আচার্য ক্ষীতিমোহন সেন। একবার তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘কবিরাজি করা আপনার পেশা। তা না করে আপনি শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের কাছে এলেন কেন?’ ক্ষীতিমোহন বললেন, ‘কবি রাজি হলেন না, তাই কবিরাজি করা হল না।’
.
.
দাদাঠাকুর গায়ে জামা দিতেন না, পায়ে জুতো পড়তেন না। গোটা কলকাতা খালি পায়ে হাঁটতেন। তাঁর যুক্তি ছিল, যদি জুতোর দরকার হতো তাহলে ভগবান মানুষের পায়ে জন্তু-জানোয়ারের মতো খুর দিয়েই পাঠাতেন। তিনি বলতেন, ‘বাগদাদের নবাবদের যেমন বলা হয় খলিফা, তেমনি আমি হলাম কলকাতার খালি-পা।’
.
.
কবি রজনীকান্ত সেন ওকালতি করতেন। একবার একটা মামলার ব্যাপারে গ্রামের এক অশিক্ষিত কৃষককে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘বিয়ের সময় আপনার বয়স কত ছিল?’ কৃষক উত্তর দিল, ‘আজ্ঞে, সতেরো বছর।’ রজনীকান্ত প্রশ্ন করলেন, ‘আপনার স্ত্রীর বয়স তখন কত ছিল?’ কৃষক বলল, ‘আজ্ঞে, চোদ্দ বছর।’ রজনীকান্তর প্রশ্ন, ‘এখন আপনার বয়স কত?’ কৃষকের উত্তর, ‘তা তিরিশ-বত্তিরিশ হবে।’ রজনীকান্তর প্রশ্ন, ‘আপনার স্ত্রীর বয়স এখন কত হল?’ কৃষকের উত্তর, ‘তা আজ্ঞে প্রায় পঁয়তাল্লিশ বছর।’ রজনীকান্তর প্রশ্ন, ‘সেকি, হঠাৎ আপনার স্ত্রীর বয়স এত বেড়ে গেল কী করে?’ কৃষকের উত্তর, ‘আজ্ঞে, এই হক কথাটিই তো কাউকে বোঝাতে পারলাম না। ওই স্ত্রীলোকের বাড় বড় বেশি।’
প্রতিভাস ম্যাগাজিন | Prativas Magazine
সংগৃহীত
