১৯০৫ সালে বিখ্যাত বিজ্ঞান জার্নাল এনালেন ডের ফিজিক তিনটি বিশেষ গবেষণাপত্র তাদের কাগজে প্রকাশ করেছিল। তৃতীয় গবেষণাপত্রটি সম্পর্কে প্রেরকের ধারণা ছিল যে এটি স্পেস ও টাইমের তত্ত্বকে উন্নত করবে। গবেষণাপত্রগুলির প্রেরক ছিলেন ২৬ বছর বয়সের এক অখ্যাত লোক, পেশায় একজন পেটেন্ট অফিসের কেরানি। অফিসের কাজ করে যখন অবসর পেতেন সেই সময়ে বসে বসে উনি রচনাগুলি তৈরি করেছিলেন। পত্রিকার সম্পাদককে প্রেরক বিনীতভাবে একটি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। চিঠির শেষে উনি লিখেছিলেন, ‘যদি আপনার কাগজে জায়গা থাকে তো ছাপবেন।’ আর তলায় নিজের নাম লিখেছিলেন, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। সম্পাদক তাঁর কাগজে জায়গা দিতে পেরেছিলেন। তৃতীয় গবেষণাপত্রটি ছিল আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব। যদি কাগজে জায়গা না থাকত তাহলে কি আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব ছাপানো হত না ?
.
.
এক আসরে রাশিচক্র নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সেই সময় একজন দাদাঠাকুরকে জিজ্ঞেস করল,
‘আপনার কী রাশি ?’
দাদাঠাকুর মজা করে উত্তর দিলেন,
‘চাপরাশি।’
.
.
জলধর সেন তখন বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। চোখে ভালো দেখেন না, কানেও শুনতে পান না বড় একটা। এক সভায় মনোজ বসু গল্প পড়লেন। জলধর সেন ছিলেন সভাপতি। সভাপতির মন্তব্যে বললেন, ‘শ্রীমান প্রেমেন্দ্র মিত্র যে প্রবন্ধটি পাঠ করলেন তা অতি উপাদেয়।’
জনৈক ব্যক্তি বললেন, ‘প্রেমেন্দ্র মিত্র নয় দাদা, মনোজ বসু।’
জলধর বললেন, ‘শ্রীমান মনোজ বসু যে প্রবন্ধ…..’
ব্যক্তি আবার সংশোধন করে বললেন, ‘প্রবন্ধ নয় দাদা, গল্প।’
জলধর বললেন, ‘ঠিক। শ্রীমান মনোজ বসু যে গল্প পাঠ করলেন তা অতি উপাদেয়।’
মনোজ বসু বললেন, ‘উপদেয় নয় দাদা, জঘন্য।’
.
.
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তখন সপরিবারে নারকেলডাঙ্গা মেইন রোডের এক বাড়িতে থাকতেন। সেই সময় পরিবারের সকলের মধ্যে কবিতা লেখার উৎসাহ এসে গেছে। সুকান্তর এক খুড়তুতো ভাইও কবিতা লেখার আবেগে টগবগ করে ফুটছিল। একদিন সে একটি লাইন লিখে নিয়ে হাজির হলো সুকান্তর সামনে। সুকান্ত দেখলেন ভাই লিখেছে, ‘ভারতবর্ষ যেন রে আজিকে বারুদখানা।’ অমনি তার সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে সুকান্ত ওই পাতায় লিখে দিলেন দ্বিতীয় লাইন, ‘কোন্ ক্ষণে যে রে ডাকিয়া উঠিবে একটি ছাগলছানা।’ খবরে প্রকাশ, সেইদিন থেকেই খুড়তুতো ভাই জন্মের মতো কাব্যলক্ষ্মীর সঙ্গে আড়ি করে দিয়েছিল।
প্রতিভাস ম্যাগাজিন | Prativas Magazine
সংগৃহীত
