ভিক্টর হুগোর নামজাদা উপন্যাস লা মিজারেবল বেরিয়েছে। ভিক্টর হুগো চিঠি পাঠালেন তার প্রকাশককে। খাম খুলে প্রকাশক দেখলেন সাদা কাগজে শুধু বড় একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন। প্রকাশক সবই বুঝলেন। তিনিও পাল্টা চিঠি পাঠালেন। তাতেও কিছু লেখা নেই। শুধু একটা বিস্ময়সূচক চিহ্ন। অর্থাৎ লেখক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘বইটির বিক্রি কেমন হচ্ছে।’ উত্তরে প্রকাশকও পাল্টা রসিকতা করে জানালেন, ‘আশ্চর্যজনক। বিক্রয়ে বাজার মাত করেছে লা মিজারেবল।’ 

.

.

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন কেনেডি একবার এক পাগলা গারদ পরিদর্শন করতে গিয়ে জনৈক পাগলের প্রশ্নের মুখে পড়লেন। পাগল জিজ্ঞাসা করল, ‘কে আপনি ?’ কেনেডি বললেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট জন কেনেডি।’ পাগল তখন মাথা নেড়ে বলল, ‘আমি যখন এখানে প্রথম আসি তখন নিজেকে আমিও আব্রাহাম লিংকন ভাবতাম।’ 

.

.

শরৎচন্দ্র দাবা খেলতে ভালোবাসতেন। একদিন তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে দাবা খেলছিলেন। কিছুক্ষণ পর দারুণ একটা চাল দিয়ে তিনি তার বন্ধুর নৌকোটা উঠিয়ে নিলেন। বন্ধুটি মজা করে বললেন, ‘ভালই হয়েছে। নৌকোটা ফুটো ছিল।’ এর কিছুক্ষণ পর বন্ধুটি দারুণ চাল দিয়ে শরৎচন্দ্রের ঘোড়া তুলে নিলেন। তখন শরৎচন্দ্র রসিকতা করে বললেন, ‘আপদ গেছে। বেতো ঘোড়া কি যুদ্ধের কাজে লাগে ?’

.

.

শ্রী অরবিন্দের বাবা ডাক্তার মনমোহন ঘোষের মৃত্যুতে এক ভদ্রলোক স্বর্গে তাঁর দীর্ঘজীবন কামনা করছিলেন। তাই শুনে শ্রী অরবিন্দ বললেন, ‘ভদ্রলোকের বোধহয় ভয়, সেখানেও তিনি স্বল্পায়ু হবেন।’ 

প্রতিভাস ম্যাগাজিন | Prativas Magazine

সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *