একবার এক জনসভায় বার্নার্ড শ বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি দুম করে বলে বসলেন,
‘এখানে উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে অর্ধেকই বোকা।’
শ্রোতারা তাতে বিক্ষুব্ধ হয়ে গোলমাল জুড়ে দিলে বার্নার্ড শ বললেন,
‘দুঃখিত। আমার বলতে একটু ভুল হয়েছে। আসলে এখানে উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে অর্ধেক বুদ্ধিমান।’
.
.
এক কবি আচার্য বিনোবা ভাবেকে তাঁর লেখা কিছু কবিতা পড়তে দিয়েছেন। কবিতা পড়ার পরে কবি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কবিতাগুলো কেমন লাগলো ?’
বিনোবাজি বললেন,
‘খুব ভালো। তবে দু’পাশের ফাঁকা জায়গাগুলো আরও ভালো।’
.
.
দিলীপকুমার রায়ের বাড়িতে আড্ডার মজলিশে অনেকের মধ্যে শরৎচন্দ্র এবং সুভাষচন্দ্র রয়েছেন। শরৎচন্দ্র তখন খুব উৎসাহের সঙ্গে খদ্দর পড়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরে ছেড়ে দেন। সেদিনের আড্ডায় খদ্দর নিয়ে আলোচনায় কথায় কথায় সুভাষচন্দ্র জিজ্ঞেস করলেন,
‘কি দাদা, হঠাৎ খদ্দর পড়া ছেড়ে দিলেন যে ?’
শরৎচন্দ্র হতাশ সুরে জানালেন,
‘ছেড়েছি কি আর সাধে ? বাড়িতে ঝি-চাকর থাকতে চায় না। বলে আমার খদ্দরের জামাকাপড় নাকি জলে ডোবালে আর তোলা যায় না এত, ভারি। তাই খদ্দর ছাড়তে হল।’
.
.
শিবরাম চক্রবর্তী খুব খাদ্যরসিক ছিলেন। একদিন কোন এক প্রসঙ্গে একটি মেয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করল,
‘আপনি জীবনে কাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন ?
শিবরাম স্পষ্ট উত্তর দিলেন,
‘যারা আমাকে খাইয়েছে তাদের প্রত্যেককেই।’ প্রতিভাস ম্যাগাজিন
সংগৃহীত