শুভজিৎ ভাদুড়ী
এর আগে কোনওদিন সিঁড়িটাকে এতটা উঁচু আর খাড়া মনে হয়নি, আজ যতটা হচ্ছে শঙ্কর দাসের। সেই কোন তিনতলায় উঠতে হবে। ইতিমধ্যেই একতলার ল্যান্ডিং-এ দাঁড়িয়ে একটু হাঁপিয়েছেন তিনি। প্রায় উঠেই এসেছেন। তবু তো জোর আছে বলতে হবে। উঠার সময় প্রবীরবাবুকে দেখলেন তিনটে সিঁড়ি উঠছে আর মিনিটখানেক দাঁড়িয়ে নিচ্ছে। প্রবীরবাবু তার থেকে দু’বছর পর রিটায়ার করেছেন। রিটায়ারের পরেও তো বেশ শক্ত সবল ছিলেন, এদিক সেদিক চলতে ফিরতে দেখা হতো তো রাস্তায়। ইদানীং শুনছেন কী এক অসুখ ধরেছে নাকি! অবশ্য অসুখ তো এখন সবারই। শঙ্কর দাসের নিজেরও কী কম নাকি! হাঁটু ব্যথা, টাল সামলাতে না পারা এসব হাজার সমস্যা। এছাড়া প্রেশার সুগার বুকের দোষ এসব তো আছেই। তিনি নিজেও তো বাড়ি থেকে প্রায় বেরোন না আজকাল। তবু এই নভেম্বরে একটা দিন বেরতেই হয়। এককালে তো এই অফিসেই বছর দশেক মতো ছিলেন। এই সিঁড়ি দিয়ে কত দৌড় ঝাঁপ করেছেন। আজকেও, যাদের রক্তের জোর আছে তারা তাকে পাশ কাটিয়ে হুড়মুড় করে উঠছে আর নামছে। এমনি করে কি আর তিনি নামেননি! সেবার এইচ আর ম্যানেজারের সঙ্গে কোথায় একটা যেতে হবে। কানুদা এসে খবর দিল সাহেব
গাড়িতে বসে গিয়েছেন। তিনতলা থেকে পড়ি কী মরি দৌড়।
তবে আজকে যারা দৌড় ঝাঁপ করছে তাদের বোধহয় ভারী অসুবিধে হচ্ছে। আজকে সিঁড়িটা ভরে গিয়েছে বুড়ো মানুষের ভিড়ে। কে নেই! উঠতে উঠতে তো দেখতে পেলেন। স্বপন লাহা! বিরেন রজক, মনটু সমাদ্দার। সব বুড়োরা কি আজকেই এসেছে নাকি! এছাড়াও কত মুখচেনা, আধাচেনা। দু-এক জনের সঙ্গে হাত নেড়ে কথা বললেন। অফিসেও তো এখন সব নতুন নতুন কর্মচারী। কেউই তাকে চেনে না। তাই কদর নেই। না হলে একসময় শঙ্কর দাস এককাপ চা একা একা দাঁড়িয়ে খাওয়ার সময় পেতেন না। অফিসের কত কেউ কত হাজার রকমের সমস্যা নিয়ে দু মিনিট কথা বলতে চাইতো শঙ্কর দাসের সঙ্গে। কারও সাহেবের সঙ্গে ঝামেলা অন্য অফিসে বদলি করে দিতে হবে। কারও রিটায়ারের দিন এগিয়ে আসছে কিন্তু এখনও সব কাগজপত্র প্রস্তুত হয়নি। এছাড়া ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য বক্তব্য তৈরি করা। ‘সাথী হাতিয়ারের’ সাধারণ সংখ্যার জন্যধারালো একটা লেখা নামানো, গ্রাহক বাড়ানো চাঁদা উঠানো! কাজ কী একটা ছিল নাকি!সেবার জেলা সম্মেলনের আগে দেওয়াল লিখন হল, কর্মচারীদের ধর্মঘটের অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে – সেইসব কাজেও তো অগ্রগণ্য ছিলেন শঙ্কর দাসই। ধর্মঘট! বনধ সফল করার জন্যে জীবনে কতবার যে রাস্তায় নেমেছে শঙ্কর! সেইসব দিনে বনধ সফল হতও, এখনকার মতো মিডিয়া ভাড়া করে সাফল্য বা ব্যর্থতার খতিয়ান প্রচার করতে হতো না। এখন সবেতেই যেন কেমন একটা বিস্বাদ!
তিনতলার ল্যান্ডিং-এ একটু দাঁড়ালেন শঙ্কর। হাঁফালেন। বুক ভরে দম নিলেন। বাঁ দিকের দেওয়ালটার দিকে তাকাতে মনে পড়ল, একবার এই দেওয়াল জুড়ে লিখেছিলেন – পুঁজিবাদী সরকার দূর হটো। এখন অবশ্য সেই লেখা নেই। নতুন রঙের পোঁছ পড়েছে। পুঁজিবাদী শব্দটার উপরেই যে কত রঙের পোঁছ পড়ল কতকাল! পা চালান শঙ্কর। কোলাপসিবল গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢোকেন।
গতবছর যেমন দেখেছিলেন অফিসটা এখনও তেমনই আছে। সোজা ঢুকে ডানদিকে ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের ঘর। নিজে হাতে করে কাগজ নিয়ে গিয়ে সাহেবকে দিয়ে সই করাতে হয়। ইউনিয়ন
থেকে একটা চেষ্টা করছে বটে একসঙ্গে অনেকের সার্টিফিকেট বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সাহেবকে দিয়ে একেবারে সই করানোর, কিন্তু সাহেব রাজি হচ্ছে না। পা টেনে শঙ্কর দাস গিয়ে বসলেন খয়েরি রঙের পুরনো সোফাটায়। ওখানে বসে আছে গোপালদা। গোপাল হালদার। শঙ্করের থেকেও দুই বছর আগে অবসর নিয়েছেন। এ যেন এক আশ্চর্য রি ইউনিয়ন। সেই গতবছরও দেখা হয়েছিল। আর আজকে আবার। কিন্তু একা কেন? শঙ্কর মনে করতে পারে গোপাল হালদারের সঙ্গে সবসময় আসত মানস সেন। সে কথা জিগ্যেস করতেই ক্ষীণ গলায় উত্তর আসে, ‘চলে গিয়েছে। ছ’ মাস হল। খবর পাননি?’
‘কই ! না তো!’
একটা তিরতিরে কষ্ট হয় শঙ্কর দাসের। মনের মধ্যে ভেসে বেড়াতে থাকে দুটো শব্দ, চলে গিয়েছে! এক উপায়ান্তরহীন চলে যাওয়া! চলে গিয়েছে! শঙ্কর দাসের মনে পড়ে মানস সেন ছিল একটু গা ছাড়া টাইপের। কাজে ফাঁকি দিত খুব, সাহেবদের কাছে গালাগালিও খেত এইজন্য। তবু কোনও হেলদোল ছিল না। ফাঁকি দিতে খুব ভালবাসত। কিন্তু মৃত্যুকে কি ফাঁকি দিতে পারল শেষ পর্যন্ত!
যে ছেলেটা চা দেয় অফিসে, সে যখন চিনতে পেরে বলল, ভালো আছেন স্যার- মনে মনে কেমন যেন একটা প্রশান্তি অনুভব করলেন শঙ্কর দাস।
আগে কোনওদিন সেভাবে খেয়াল করেননি। আজকে অফিস থেকে বেড়িয়ে রথবাড়ীতে দাঁড়িয়েও মনে হল শহরটাতে গিজগিজ করছে বুড়ো মানুষ। একজন বুড়ো মতো মানুষের থেকে লেবু কিনলেন শঙ্কর দাস। দার্জিলিং লেবু এখনও বাজারে আসেনি। এটা নাগপুরের। তাইই সই।
তারপর চোখ পড়ল একজন বুড়ো মানুষ ফুল বিক্রি করছে। সারাজীবনে সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া আর কিছু তো স্ত্রী-র হাতে তুলে দেননি ইলেকট্রিক আফিসের কেরানি শঙ্কর দাস। আজ কী মনে করে একগোছা গোলাপ কিনলেন। বিশেষ দামদরও করলেন না। তারপর ফেরার জন্য টোটো-র খোঁজ করতেই দেখলেন একজন বেশ বুড়ো মানুষ রিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ে রংচটা কালো পাজামা আর হাফশার্টের ওপরে একটা ছেঁড়া হাফ সোয়েটার। চোখে আবার চশমাও আছে। ব্যাপারটা বেশ নজর কাড়ল শঙ্কর দাসের। সাধারণত এই শ্রমজীবী মানুষগুলোর চোখে চশমা বিশেষ একটা দেখা যায় না। সেই কবে যুবক বয়সে ব্যাপারটা নিয়ে ভেবেছিলেন তিনি। এই গরিবগুরবো লোকগুলোর কী তবে চোখ খারাপ হয় না! তারপর পার্টিকে বলে একটা বিনামুল্যে চক্ষু পরীক্ষা! বছরখানেক করতে পেরেছিলেন বোধহয়। তারপর আরও কত দেশ বিদেশের ভাবনা! আমেরিকা আর ভিয়েতনাম নিয়ে ভাবতে গিয়ে,গণপ্রজাতন্ত্রী চিন আর কিউবা নিয়ে ভাবতে গিয়ে এই লোকগুলোর কথা আর বিশেষ একটা ভাবা হয়নি।
আজকাল আর কজন রিক্সায় চড়ে! আহা রে বেচারা হয়তো সকাল থেকে একটাও ভাড়া পায়নি। খানিকটা মায়া করেই রিক্সায় উঠলেন শঙ্কর। যেতে যেতে গল্প করছেন- ‘নাম কি গো তোমার?’
‘আজ্ঞে শঙ্কর। শঙ্কর দাস।’
প্রথমে একটু চমকে উঠলেন। তারপর মৃদু হাসলেন। এ পৃথিবীতে একার বলে কিছু হয় না।
‘বাড়িতে কে আছে শঙ্কর? নাম ধরেই বলছি তুমি তো আমার সমবয়েসি বা একটু ছোটই হবে।’
‘আছে বাড়িতে দুই ব্যাটা, ব্যাটাবউ, নিজের বউ।’
‘কবে থেকে রিক্সা চালাও তুমি?’
‘দিনক্ষণ কী আর খেয়াল থাকে! তবে যবে থেকে গোঁফের রেখা উঠেছে তবে থেকেই টানছি।’
‘ছেলেরা কী করে?’
‘বড়টা বোম্বেতে খাটে, ছোটটা বসেই, বিয়েও করেনি।’
জাতীয় সড়ক ছেড়ে রিক্সা এখন নেমে এসেছে রাজমহল রোডে। নাগরিক ক্যাকফনিকে প্রাচীন মন্থরতায় সরাতে সরাতে রিক্সা এগিয়ে চলেছে ফোয়ারা মোড়ের দিকে। সরু সরু দুই পা একবার ডানদিক চাপে একবার বামদিক। পিছন থেকে মাথার পাশে কানদুটোকে বেশ বড় লাগে শঙ্করের। কানের উপর চশমার দুটো দুর্বল ডাঁটি।
‘এই যে এত বছর রিক্সা চালাচ্ছো শঙ্কর, কোনও পরিবর্তন চোখে পড়ে না?’
‘কার পরিবর্তন বাবু? মানুষের না শহরের?’
‘ধর গিয়ে দুটোই।’
‘আমার একটা দিদি আছে বুঝলেন বাবু। বাবা ওর বিয়ে দিয়েছিল সরকারি পিওন দেখে। কিন্তু কপাল খারাপ জামাইটা মরে গেল হঠাৎ করে। এখন বর মরলে বউ তো চাকরি পায়,
সেটাই নিয়ম। কিন্তু জামাইদাদা কংগ্রেস করত বলে চাকরিটা আট বছর ঠেকিয়ে রেখেছিল লাল পার্টি। আর এখন তো সবই ঠেকিয়ে রেখেছে এই সরকার।’
‘তোমার পড়াশোনা কতদূর শঙ্কর?’
‘আজ্ঞে কেলাস ফাইভ।’
‘আর পড়লে না কেন?’
‘আমাকে কে পড়াবে বাবু! আমাকে পড়ালে রিক্সা টানবে কে! মোট বইবে কে! আপনে শহরের পরিবর্তনের কথা বলছিলেন, আমাকে পড়ালে এই এত বড় ফ্ল্যাটবাড়ি, শপিং মল এসব কে বানাবে!কে মাথায় করে ইট নিয়ে ওই উঁচু মই বেয়ে উঠবে! কে টুপ করে খসে পড়বে ওই উঁচা বিল্ডিংয়ের মাথা থেকে?’
চুপ করে থাকে শঙ্কর। আরোহী শঙ্কর। চালক শঙ্কর বলে চলে,’তবে পড়াশোনা করলে ঝক্কি অনেক বাবু। ছোট ব্যাটাটা কলেজ পাশ করল, এখন না পারে রিক্সা চালাতে না পারে দিল্লি বম্বে খাটতে!’
‘চাকরির চেষ্টা করে না?’
‘সে কোথায় আছে স্যার? আমাদের গ্রামে এস এম এসের ব্যবসা করে তিনতলা বাড়ি তুলে নিল। মিথ্যা বলব না ছেলে সেই লাইনেও চেষ্টা করেছিল। এখন ভগবানের কী ইচ্ছা!’
‘তুমি ভগবানে বিশ্বাস কর শঙ্কর?’
‘আজ্ঞে তা করি বাবু, মিথ্যা বলব না।’
‘ভগবানকে দেখেছ?’
‘আগে তো লাল পার্টিকেই ভগবান মানতাম স্যার। তা সে ভগবান চলে গেল। এখন মিথ্যা বলব না, বউ যে ফটোর সামনে ধুপ ধুনা দেয় তার সামনে দাঁড়াতে খারাপ লাগে না। মনে একটা শান্তি হয় ঠিকই।’
দেখতে দেখতে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে রিক্সা। সুভাষ স্ট্যাচু পার করে বাঁধরোড ধরে এখন নতুন সেতুর দিকে বাঁক নিচ্ছে।
‘আপনার ছেলে আছে বাবু?’
‘আছে তো। ওই মুম্বয়েই সেটেলড।’
‘আমরা বলি বোম্বে।’
মহানন্দা সেতু পেরিয়ে যেতে হবে। চড়াই ভাঙতে গিয়ে হাফিয়ে গিয়েছে চালক শঙ্কর। রিক্সা থেকে নেমে প্রাণপণ টানছে। আরোহী বলছেন, ‘আহা করছ কী! আমি এইটুকুটা হেঁটে উঠছি। তুমি থামো।’
চালক বলছে, ‘না না নামবেন না। নামবেন না।’
চালকের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না আরোহী। তবু মনে হচ্ছে ওর বোধহয় জিভটা বেড়িয়ে এসেছে। চোখ দুটো বড় বড় হয়ে ঠিকরে বেড়িয়ে আসছে। আহা করছ কী! থামো বলছি।
কিন্তু চালক থামে না কিছুতেই। তার সরু পা দুটো যেন চাপ দিয়ে পিচরাস্তা ফাটিয়ে দেবে। কালো কালো পায়ে একটা বহু ব্যবহৃত হাওয়াই চপ্পল, রাস্তার সঙ্গে ঘর্ষণে চটচট আওয়াজ তুলছে। সেতুর মধ্যেখানে সমতলে এসে একটা লম্বা দম নিল চালক। বলল,‘লাইফ সারটিফিট জমা দিতে গেছিলেন বাবু?’
‘হ্যাঁ। তুমি বুঝলে কি করে?’
‘এই মাসে তো সবাই যায়। নভেম্বর মাস কি না।’
‘ও।’
‘আমাদের তো প্রতিদিনই জমা দিতে হয়। এই যে আপনাকে টেনে তুললাম ওটাই লাইফ সারটিফিট। আপনারা দেন ব্যাঙ্কে অফিসে, আমাদের জমা দিতে হয় নিজের কাছে।’
সেতুর ঢাল বেয়ে এখন গড়াচ্ছে রিক্সা। হাওয়ায় ফড়ফড় করে উড়ছে চালকের জামা। আরোহীর জামা। হালকা ঠাণ্ডাও লাগছে। নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ। এখনও সেভাবে শীত না পড়লেও বাতাসে একটা ঠাণ্ডার ভাব এসেছে।
‘এই সময়টাতেই আরাম না শঙ্কর? নামার সময়?’
‘হ্যাঁ বাবু নামতে আর কষ্ট কই! উঠতেই যা কষ্ট। উঠে দাঁড়াতে!’
একসময় এদের নিয়ে কত ভেবেছেন শঙ্কর। আরোহী শঙ্কর। জোনাল কমিটি। জেলা কমিটি। রাজ্য কমিটি। ঝাণ্ডার নীচে কত বিপ্লব!কত স্বপ্ন! তবে রক্ত ফিকে হয়ে এসেছে। এখন কেবল মনে হয় আর কয়েক বছর পর থেকে ফুল পেনশন পাওয়া যাবে।
‘বাম দিকের রাস্তাটা ধরো, একটু এগিয়ে ওই কালো দরজাটার সামনে, হ্যাঁ, ব্যাস এখানেই রেখে দাও’
‘এই আপনার বাড়ি বাবু?’
‘হ্যাঁ গো, এই বাড়ি।’
চালক শঙ্কর একবার মুখ উঠিয়ে চারপাশটা দেখে। দোতলা বাড়ি। একটা দুর্ভাবনাহীন নিশ্চিন্ত অবসর জীবনের মতো ধ্যানস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ছাদের রেলিং থেকে উঁকি দিচ্ছে নভেম্বরের ফুল। ব্যাগগুলো সামলে নিয়ে রিক্সা থেকে নামছেন আরোহী শঙ্কর। চালক শঙ্কর একটু হাফিয়ে নিচ্ছে। ভাড়া মিটিয়ে কলিংবেল টিপতে নেবেন শঙ্কর, কী মনে করে থমকালেন। চালক শঙ্কর ততক্ষণে দশ বিশ টাকার নোট গুলো বুক পকেটে ভরে রিক্সা ঘুরিয়ে নিয়েছে। প্যাডেলে চাপ দিতে নেবে এমন সময় ডাক শুনে আবার পিছন ফিরে তাকাল।
‘শঙ্কর!’
‘বাবু?’
কী মনে করে রিক্সাচালকের হাতে একটা গোলাপ তুলে দিলেন শঙ্কর দাস। লাল গোলাপ। প্রতিভাস ম্যাগাজিন
খুব ভালো লাগলো