অনঞ্জন
গ্রীষ্মের দুপুরে হামাগুড়ি দিয়ে একটু একটু করে
নদীটা এগোচ্ছিল
দেখে আমার কষ্ট হল, আমি ওর কাছে গিয়ে দাঁড়াতে
ও মুচকি হাসল
গনগনে দুপুরে নিঃসহায় নদীকে পথ হাতড়াতে দেখে
দু-ফোঁটা অশ্রু ঝরল
আমার চোখের জলের মাত্র দু-ফোঁটা, ছোঁয়ামাত্র
হিল্লোল তোলে নদী
কোথা থেকে এসে জড়ো হয় একদল আহ্লাদী মেঘ,
বৃষ্টি আসে কেঁপে কেঁপে
দুকূল ছাপিয়ে, আছাড়ি-পিছাড়ি সে লাস্যময়ী প্রগলভ
হয়ে ওঠে
সে তখন অসংবৃত, তার কালো শরীর জুড়ে ঢল; স্তব্ধ
আমি বাকরূদ্ধ,
দু-ফোঁটা চোখের জল নদীর দুপুর ভাসিয়ে দেয়!