উষ্ণীষ মুখার্জী

জানি পথ বড় দুর্গম, নির্জন

দীর্ঘও বটে;

তবু একদিন হাঁটবো আমরা

ঠিক করেছিলাম দুজনে

সে জঙ্গম জন অরণ্যেই হোক

কিংবা শান্ত সাদা বালির সমুদ্রতটে

সে নৈকট্যের নিশ্চয়তাই হোক

বা অজানা ঢেউয়ের উজানে ভেসে 

ক্রমশ সরে যেতে যেতে …

তোমার ওই মেঘ জমা চোখে

জানি ফের একবার

ফিরে তাকাবে

মদির মেঘে ফিরোজা রঙ

তখন লাগবে

তুমি তখন হাঁটবে … দূরে হাঁটবে ।।

.

জানি সংসার বড় কঠিন

শান্ত কোন নামহীন

খাঁড়ির মত নিশ্চল

আছে নিয়মের কাঁটাতার

আছে কঠিন শৃঙ্খল …

নেই কোন বিকল্পের বিহ্বলতা

নেই কোন নতুন নক্ষত্রের হদিস

এক হতাশ হাওয়ায়

জীবন বয়ে যায়,

তাকিয়ে দেখি এই বিবর্ণতায় …

যেখানে চন্দ্রিমা পিছল তুমি মসৃণ

জ্যোৎস্না গলা রঙে তুমি রঙিন,

সেখানে ক্লীব কালের প্রান্তে দাঁড়িয়ে

আমি মলিন,

বড় ক্লান্ত, ক্ষীণ …

নাগরিক কোলাহলে রোজ আমি বিভ্রান্ত

দেখি অজস্র প্রশ্নে আকাশপথ বিভক্ত …

কোথায় গেলে পাবো মুক্তি ?

কোথায় পাবো প্রেম?

কোথাই বা পাবো পাখীর নীড়ের মত

দুদণ্ডের বাসা?

কোথায় পাবো ক্ষণিক সুখের মৌচাক?

কোন মধুপের সান্নিধ্যে হবো মধুকর ?

বহু প্রশ্নের প্রখর ঝড়ে

যেন ওই হতাশ হাওয়ারই মতো

আমি দিকভ্রষ্ট…।।

.

কাঁচের গেলাসে আটকে পড়া ভ্রমরের মতো

বিভ্রান্ত মনে প্রশ্নেরা করে ঘুরপাক

অসীম এই দ্বন্দের মাঝে ,

আঁধার পথে ,

আলোর দেখা মেলে যেন হঠাৎ

দেখতে পাই এ মরুভুমির বুকে

তোমার ফেলে যাওয়া

হাজার পদচিহ্ন

পাই যেন দিকচিহ্ন…

সেই অচিন পথের অমঘ নেশা

যেদিন হাতছানি দিয়ে ডাকবেজানি তুমি তখন হাঁটবে … দূরে হাঁটবে ।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *