অতনু নন্দী
পুজো শেষে এরকমই এক কোজাগরী পূর্ণিমার সন্ধ্যাতে পাড়ার প্যান্ডেলে শেষ দেখা হয়েছিল তার সঙ্গে
.
দিন… মাস.. বছর
বেশ কয়েকটা কোজাগরী চাঁদ কাল অবধি ছিল আমাদের শূন্য জীবনের সাক্ষী
.
কখনো বসেছি আমি জলের কাছে, শুনিয়েছি
আমাদের হারিয়ে যাওয়া সুদিনের কথা
.
কখনো ঘুম হারানো রাতে কবিতার পাতায়
শুধুই অভিমান লিখেছি
.
হটাৎ কাল এক হোটেলে সন্ধ্যা বেলা কফি আড্ডাতে বসে দেখি পুলিশ কয়েকটা মহিলাকে সেকেন্ড ফ্লোর থেকে টেনে নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে
হটাৎ দেখি কোজাগরী সন্ধ্যায় হারিয়ে যাওয়া আমার নন্দিনীও আছে তাদের মাঝে
.
আজ সকালে থানায় যাই, বেলবন্ডে ছাড়িয়ে আনি নন্দিনীকে কোজাগরী চাঁদকে সাক্ষী রেখে
.
আসার পথে নন্দিনীর মুখে শুনলাম আমার বেকারত্বকে আর সহ্য করতে না পেরে আমাকে ছেড়ে যাকে সে নির্বাচন করেছিল , সে নাকি লক্ষী ব্যবসায়ী!