সন্দীপন চক্রবর্তী
প্রতিটা অপমান ভেতর-দেওয়ালে
কয়লা দিয়ে দাগ কেটে যায়
সেগুলো ধরে ধরে সংখ্যা গুণতে শেখে আমার মেয়ে
এক, দুই, তিন, চার, হাজার…হাজার…
.
আমার ভেতরে
বসাতে চেয়েছ এক হিংস্র বাজার
যেখানে বঁটির শব্দ সব্জির ভেতর দিয়ে পৌঁছে যায় ফুলে…
যেকোনো ধূর্ততা খুব স্বাভাবিক হয়ে আসে
পাটিগণিতের মতো মোলায়েম, তেলতেলে সিঁড়ি
.
আমরা তো আজন্ম ভিখিরি, বুঝিনি যে
পৃথিবীর সব সিঁড়ি আসলে ভীষণ নড়বড়ে
খবরে খবরে হাতফেরতা নোট আসে – বিনিময়ে কালো –
সংস্কৃতির ফাঁকে গুঁজে রাখা
গোপন জিগোলো
উঠে আসে ঝলমলে শব্দ থেকে দীর্ঘ ইশারায়
.
সব কথা শেষ হয়ে যায়।
খেলা করে ঢেউ…
ফিনিশিং লাইনের দিকে যেতে যেতে
এটুকুই চাওয়া
সঙ্গে সঙ্গে থাকে যেন কেউ, উদ্গ্রীব আঙুল
.
অল্পই দু-চারটে বন্ধু চাই
(হতে পারে ঠিক তারা, হতে পারে ভুল)
তুমুল বৃষ্টির রাতে যারা বলবে –
চিন্তা নেই, বাড়ি পৌঁছে দেবো
করিস না ভয়
.
মনে হবে – এই তো,
এমনই তো হয়ে থাকে, হয়।